এই মুহূর্তে




অবশেষে রানিমার বোধদয় ‘ভুল হয়েছে’, আপাতত তিনি ‘বিমুখ’ পদ্মে

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের(Raja Krishna Chandra Roy) নামাঙ্কিত শহর তথা শহরের নামে চিহ্নিত লোকসভা কেন্দ্র দখলে পদ্মের তাস হয়ে উঠেছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্রেরই পরিবার তথা কৃষ্ণনগর রাজবা়ড়ির(Krishnanagar Rajbari)  কূলবধূ যাকে সবাই ‘রানিমা’ বলেই ডেকে থাকেন সেই অমৃতা রায়(Amrita Roy)। কিন্তু পদ্ম ফোটেনি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কৃষ্ণনগরে। ফুটেছে ঘাসফুল। মহুয়ায় মেতেজে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কৃষ্ণনগর। সেই ভোটযুদ্ধের ইতি ঘটতেই বোধদয় হল ‘রানিমা’র। জানালেন, ‘রাজনীতিতে নামাটাই ভুল হয়েছে। এর পরে যদি রাজনীতি করি, নিজের বুদ্ধিতেই চলব! অন্যের কথায় নয়!’ অমৃতাকে প্রার্থী করে বাংলার মাটিতে রাজপরিবারের সদস্যদের নতুন করে রাজনীতিতে নামা ও জনপ্রতিনিধি হয়ে ওঠার একটা সুযোগ খুলে দিয়েছিল পদ্মশিবির। কিন্তু সেই সুযোগে সায় দেননি কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটাররা। তার জেরেই কৃষ্ণনগরের ‘রানিমা’কে হারতে হয়েছে ৫৭ হাজার ভোটে। আর সেই হারের পরে বিস্ফোরক ‘রানিমা’। রাজ্যের প্রথম শ্রেনীর এক সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি পদ্মের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ উগরে জানিয়েছেন, ‘এই পরাজয় মানতে পারছি না। ওরা যেমন বলেছে, তেমনই করেছি। সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রচার করেছি। যেখানে বলেছে, সেখানে গিয়েছি। অন্যের বুদ্ধিতে চলেছি। নিজের বুদ্ধিতে চললে এর চেয়ে ভাল ফল করতাম।’    

মুখ খুলেছেন ‘রানিমা’র ঘনিষ্ঠরাও। তাঁদের দাবি, ‘রানিমার কথায় কেউ কান দেননি। রানিমা চোখের সামনে দেখেছেন দুর্নীতি হচ্ছে! উনি সে কথা বলেওছেন। কিন্তু ওর কথা শোনা হয়নি। উল্টে এখানকার নেতৃত্ব যা বলেছেন, তা-ই করতে হয়েছে। রানিমা যদি নিজের বুদ্ধিতে চলতেন, তা হলে হারতেন না। তাঁকে ডুবিয়েছেন তাঁর ভোটপ্রচারের দায়িত্বে থাকা নেতারা। তাঁরা দুর্নীতি করেছেন। প্রচারের জন্য আসা অর্থ সরিয়েছেন।’ বস্তুত বিজেপির অন্দরে বিজেপিরই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বাংলায় ভোটের প্রচারের জন্য টাকা পাঠানো এবং তা একশ্রেনীর পদ্মনেতাদের মেরে দেওয়ার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। উনিশেও এই অভিযোগ উঠেছিল, একুশে তো কার্যত তা রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। এখন দেখা যাচ্ছে সেই রোগ এখনও সারেনি। এর পাশাপাশি কৃষ্ণনগরে বিজেপির হারের পিছনে উঠে আসছে দলের আদি নেতাদের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও। কৃষ্ণনগরের রাজপরিবারের কূলবধূ এবং রানিমাকে প্রার্থী করা তাঁরা মেনে নিতে পারেননি। প্রকাশ্যে তাঁরা সরাসরি তৃণমূলের(TMC) সঙ্গে হাত না মেলালেও, বিজেপির(BJP) হয়েও গা ঘামাননি।

এখন রানিমার ঘনিষ্ঠদের দাবি, ‘বিজেপি ঠকিয়েছে রানিমাকে! রানিমার ইমেজ, রাজবাড়ির নামে রানিমাকে রাস্তায় নামিয়েছে! রানিমাও ঘুরেছেন। কিন্তু এখানে বিজেপি নেতারা নিজেরা দুর্নীতি করেছেন। মোদিজি-শাহজির সভায় চুরি হয়েছে। বার বার হিসাব চাওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ হিসাব দেয়নি। সই করিয়ে চেকবুক নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পাশবইও রানিমার কাছে ছিল না। টাকাপয়সা সরানোর বিষয়টি বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। যারা টাকাপয়সা সরিয়েছে, তাদের নামের তালিকা বানানো হচ্ছে। বিষয়টি নেতৃত্বকে জানানো হবে। এই সব দেখে এখন রাজনীতি থেকে মন উঠতে শুরু করেছে রানিমার!’ অমৃতা নিজেও জানিয়েছেন, ‘আগামী দিনে রাজনীতি করলে নিজের বুদ্ধিতেই করব। এ বার কলকাতা যাব। সব কিছু ঠিকঠাক হলে সকলের সঙ্গে কথা বলব।’ যদিও কৃষ্ণনগর শহরের সিংহভাগ বাসিন্দার দাবি, রানিমার রাজনীতি নামার আগে হিসাব কষতে হতো, তিনি আদৌ এই আসন থেকে জিতবেন কিনা। সেই হিসাব না করেই তিনি বিজেপির কথায় নেমে পড়েছেন। এখন তাঁর দাম চোকাচ্ছেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কলকাতা বিমানবন্দর এলাকা থেকে ধরা পড়ল ভগবানগোলায় স্বামীকে খুনের ঘটনায় স্ত্রী ও প্রেমিক

বর্ধমানের পালসিট মোড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত ১

ভগবানগোলায় স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী

ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার জামিন আর্জি খারিজ জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের

দত্তপুকুরে জলাশয় থেকে বাস কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

অল্পের জন্য প্রাণরক্ষা! রেলব্রিজ থেকে কালনাগিনীতে ঝাঁপ দিয়ে বাঁচলেন দাদু-নাতনি

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ