নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি চাকরির নাম করে প্রতারণা। অভিযুক্ত সিপিএম সদস্য। জানা গিয়েছে, প্রতারিত ও প্রতারক পূর্ব মেদিনীপুরের। পুলিশের (POLICE) তৎপরতায় গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত।
ধৃতের নাম পার্থ মণ্ডল। তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুর থানার বাসিন্দা। প্রতারণার শিকার যিনি হয়েছেন তাঁর বাড়ি ওই জেলার নন্দীগ্রামের সাঁইবাড়ি এলাকায়। তাঁর নাম স্বপন দাস। গত বৃহস্পতিবার চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। অভিযোগের ওপর ভিত্তি করেই অভিযুক্তকে চুঁচুড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার ধৃতকে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হলে ধৃতের ১০ দিনের জেল হেফাজত হয়।
অভিযোগ, গত আড়াই বছর আগে প্রতিবেশী সুদীপ্ত হাজরার পরিচিত অমিত পায়রার সঙ্গে আলাপ হয় স্বপনের। অমিত না কি জানিয়েছিলেন, তিনি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরে চাকরি করেন। বলেছিলেন, ঘাটালে তাঁর চেনা লোক আছে। তাঁকে টাকা দিলেই মিলবে সরকারি চাকরি। সেই চেনা লোক পার্থ। তারপরে পার্থের সঙ্গে স্বপনের আলাপ করিয়ে দেন অমিত। এরপরেই নিজের ছেলে ও মেয়ের চাকরির জন্য ১১ লক্ষ টাকা পার্থকে দেন স্বপন।
গত ১১ এপ্রিল পোস্টের মাধ্যমে সরকারি সিল ও লোগো সহ একটি নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন স্বপন। নিয়োগপত্র ছিল হুগলি জেলা হাসপাতালের গ্রুপ ডি পদের। তবে তা জেরক্স। পার্থের দাবি ছিল, আসল কপি না কি তাঁর নিজের কাছে। বলেছিলেন, আরও দেড় লক্ষ টাকা দিলে তবেই চাকরিতে যোগ দিতে পারা যাবে। গতকাল ছেলেকে নিয়ে ইমামবাড়া হাসপাতালে আসেন স্বপন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়োগপত্র দেখে জানায়, সেটি ভুয়ো। এরপরেই থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্বপন।
স্বপন বলেন, তিনি কলকাতায় একটি বেকারিতে কাজ করেন। ছেলে ও মেয়ের চাকরির জন্য জমি বিক্রি করে এবং ধার করে টাকা জোগাড় করেছিলেন। তবে হয়নি চাকরি। এরপরেই অমিতকে ফোন করেন স্বপন। তবে অমিত না কি ফোন ধরতেন না। পরে না কি নম্বর বদলে নিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, অমিতের খোঁজেও চলছে তল্লাশি।