নিজস্ব প্রতিনিধি: কম্বল কাণ্ডের জেরে মৃত্যু হয়েছে ১ নাবালিকা সহ ৩ জনের। আহত ৭। ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন বিজেপি (BJP) নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি। তিনি ওই ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই মঙ্গলবার তাঁর ফ্ল্যাটে যায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ।
সূত্রের খবর, ফ্ল্যাটের দরজা তালা বন্ধ ছিল। দীর্ঘক্ষণ ফ্ল্যাটের বাইরেই অপেক্ষা করে ছিলেন পুলিশ আধিকারিক এবং কর্মীরা। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ জনকে। প্রসঙ্গত, গত সোমবার তাঁর বাড়িতে গিয়েও তাঁকে পায়নি পুলিশ। তলবের নোটিস চিটিয়ে এসেছিলেন পুলিশকর্মীরা। তলবপত্রে বলা হয়েছিল, মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ তলব করতে আসবেন আসানসোল- দুর্গাপুর পুলিশ আধিকারিকরা। এই প্রসঙ্গে অভিযুক্ত কাউন্সিলরের স্বামী জিতেন্দ্রর দাবি ছিল, স্ত্রী চিকিৎসার জন্য বাইরে আছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে চৈতালিকে গত বৃহস্পতিবার জেরা করতে চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছিল পুলিশ। সেবারে হাজিরা দেননি চৈতালি। প্রসঙ্গত, বিজেপির কম্বল বিতরণের ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মঞ্চ ছাড়ার পরেই ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনার পরের দিনই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়ে সাহায্য করা হয়। আহতদের হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব।