বালুরঘাট: সন্মেলনকে সামনে রেখে উপভোক্তাদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে ২০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ বালুরঘাট সদর ডাকবিভাগের আধার কেন্দ্রে। কাঠগড়ায় অল ইন্ডিয়া পোষ্টাল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের দিনাজপুর বিভাগীয় শাখা। বিষয়টি সামনে আসতেই ফাঁপড়ে পড়েছে এই কর্মী সংগঠনের নেতৃত্বরা। এদিকে ঘটনার সত্যতা জেনে পদক্ষেপের আশ্বাস বালুরঘাট সদর ডাকবিভাগ সুপারের।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরে রয়েছে সদর ডাকঘর। এই ডাকঘরের নীচতলায় একটি কাউন্টার খোলা হয়েছে সংশোধনসহ আধার সংক্রান্ত অনান্য কাজের জন্য। সকাল দশটায় কাউন্টার খোলা হলেও দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে লাইন দিচ্ছেন আগের রাত থেকে। আধার সংক্রান্ত কাজের জন্য প্রতিদিন লাইনে দাঁড়ানো প্রথম একশো জনকে ফর্ম দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ, ওই কাউন্টারে বসা কর্মীরা ফর্ম দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি ২০ টাকার কুপন ধরিয়ে দিচ্ছেন মানুষদের। সেই কুপনটি অল ইন্ডিয়া পোষ্টাল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের দিনাজপুর বিভাগীয় শাখার। সন্মেলনকে কেন্দ্র করে ছাপা সেই কুপন দিয়ে প্রতিটি মানুষের কাছ থেকে ২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এতেই উপভোক্তাদের মধ্যে ব্যপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সম্পুর্ন বিনামূল্যে ফর্ম বিলির নির্দেশ কার্যত উপেক্ষা হচ্ছে সদর ডাকঘরে।
উপভোক্তা ঝর্ণা বিবি, শীপ্রা সোরেন বলেন, ‘আমরা আধার সংশোধন করতে ফর্ম নিতে এসেছি। কিন্ত ফর্মের সঙ্গে একটি হলুদ রঙের ছোট কুপন আমাদের ধরিয়ে দিয়ে ২০ টাকা করে চাইছে কাউন্টারে বসা কর্মীরা। আধারের কাজটি যাতে হয় তার জন্য বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েছি আমরা। কিন্ত ফর্ম নিতে এইভাবে টাকার জন্য বাধ্য করার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আমরা। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষর দেখা উচিৎ। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে আসা গরীর উপভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করা হোক।’
বালুরঘাট প্রধান ডাক বিভাগের সুপার নজরুল আলম ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও ক্যামেরার আড়ালে বলেন, ‘ডাকবিভাগ আধার এনরোলমেন্টের জন্য ৫০ টাকা করে নেয়। তবে এখান থেকে কোনও কর্মচারী সংগঠন সন্মেলন বা ওই ধরনের কোনো কর্মসূচির জন্য কারও কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারেনা। আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। সত্যতা প্রমান হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’