এই মুহূর্তে




রেকর্ড বৃষ্টি বর্ধমান-বাঁকুড়ায়! প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা




নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে প্রথমে ঘূর্ণাবর্ত হিসাবে জন্ম নেওয়া নিম্নচাপ গত মঙ্গলবার রাত থেকেই ভিজিয়ে চলেছে বাংলাকে। বৃহস্পতিবার সেই নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ডের বুকে অবস্থান করলেও তার প্রভাবে এদিন রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে পুরুলিয়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনায়। অর্থাৎ নিম্নচাপ বাংলা ছেড়ে চলে গেলেও দুর্যোগ রয়েই গিয়েছে গাঙ্গেয় বঙ্গে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে শুক্রবার থেকেই আবহাওয়া তাঁর পুরাতন ছন্দেই ফিরবে।

নিম্নচাপের জেরে প্রবল বর্ষণে কার্যত হাবুডুবু অবস্থা তৈরুই হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ন এলাকায়। প্রবল বর্ষণের জেরে দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং দুই মেদিনীপুরের বহু জায়গা জলের তলায় চলে গিয়েছে। হলদিয়া পুরসভার একাধিক এলাকায় জমে থাকা জল জমে থাকার পাশাপাশি ভগবানপুর, এগরা, পটাশপুর এদিন নতুন করে আবারও প্লাবিত হয়েছে। কেলেঘাই নদীর জল উপচে গ্রামে ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে ওইসব এলাকার গ্রামে। প্সহচিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ও খড়গপুর মহকুমাতেও বিস্তীর্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে দুই আড়াই দিনের এই বৃষ্টিতে। এই জেলারই পিংলায় পিন্ডরুই এলাকায় জলে ডুবে কার্তিক মাইতি(৪০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। সবং ও পিংলা ব্লকের গ্রামীণ এলাকা দিয়ে বাকসি, চন্ডিয়া নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে। ঝুমি আর শিলাবতী নদীর জলে আবার নতুন করে বিপদ বাড়াচ্ছে ঘাটাল মহকুমার।

তবে এদিন সব থেকে বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। দু’দিনের বৃষ্টিতে এই দুই জেলাতেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নদীগুলি ফুলেফেঁপে উঠে দুরন্ত গতিতে বয়ে চলেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আসানসোলে বৃষ্টি হয়েছে ৩৮৫ মিলিমিটার। যা বিগত চার দশকের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। আসানসোল শহরের রেলপার, দিলদারনগর, চেলিডাঙ্গা, নিয়ামতপুর, রানিগঞ্জ, বার্নপুর-সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে প্রবল বৃষ্টির জেরে। শহরের মাঝ বরাবর যে দু’টি নদী বয়ে গিয়েছে সেই গাড়ুই আর নুনিয়া এখন চরম বিপদসীমার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে। দুর্গাপুরে একই অবস্থা হয়েছে তমাল নালা ফুলে ফেঁপে ওঠায়। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় দূর্গাপুরে বৃষ্টি হয়েছে ২২০ মিলিমিটার, পুরুলিয়াতে ১৭৫ মিলিমিটার, বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে ৩৭১ মিলিমিটার, কাঁটাবাঁধে ২৬৫ মিলিমিটার।

বাঁকুড়া জেলাতে রেকর্ড বৃষ্টির জেরে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলা গন্ধেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর, শিলাবতী-সহ সব নদীর জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে।অএদিন সকাল থেকেই গন্ধেশ্বরী নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে বাঁকুড়া শহরের একাংশ। দ্বারকেশ্বর এবং শিলাবতী নদীর জলে ডুবেছে জেলার বিভিন্ন সেতু। জেলা জুড়ে বিপর্যস্ত যান চলাচল। সিমলাপালের কাছে শিলাবতী সেতুর ওপর দিয়ে জল বয়ে চলেছে। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে। শিলাবতী নদীর জলের তলায় ডুবে গিয়েছে ভেলাইডিহা সেতু। গন্ধেশ্বরী নদীর জল পাড় ছাপিয়ে প্লাবিত করেছে বাঁকুড়া বাইপাস ও সংলগ্ন লক্ষ্যাতড়া ও সতীঘাট এলাকা। জল ঢুকেছে পলাশতলা, রামকৃষ্ণপল্লি, অরবিন্দপল্লি-সহ বিভিন্ন এলাকায়। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে বৃহস্পতিবার ১ লক্ষ ৫০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় তা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে হুগলির আরামবাগ মহকুমা ও হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া মহকুমার বিস্তীর্ন এলাকা নতুন করে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

চন্দননগর নয়, তবে কোথা থেকে হয়েছে বাংলার জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা ?

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে শান্তিপুরের রাস মেলা উপলক্ষে ৬৩ টি রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু

স্থানীয়দের নিয়োগের দাবিতে ফের কল্যাণী এইমসের সামনে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর

২৫ নভেম্বরের আগে কলকাতায় শীত দূর অস্ত, জানাল আবহাওয়া অফিস

মালদায় প্রশাসনের স্পষ্ট নির্দেশ জলের মধ্যে করা যাবে না ছট পুজোর মঞ্চ

প্রয়াত হলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সহপাঠী, বারাসত পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর