নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভায় ভোট। তাই শাসক বিরোধী সবপক্ষই ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত। একাধিক পুরসভায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। যার মধ্যে এগিয়ে সিপিএম। পুরভোটের দামামা বাজতেই একাধিক পুরসভায় প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করছেন সিপিএম-এর জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু সেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সিপিএম-এর মধ্যেই কোন্দল দেখা গেল। পুরসভা ভোটের মুখে প্রার্থী না করায় দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন সোনামুখীর দশ বছরের প্রাক্তন পৌরপ্রধান তথা দলের এরিয়া কমিটির সম্পাদক কুশল বন্দোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারই বাঁকুড়া জেলার বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী-এই তিন পুরসভার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বাঁকুড়া জেলা বামফ্রন্ট। যাতে নাম ছিল না সিপিএম নেতা কুশল বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর তাতেই ক্ষোভপ্রকাশ করেই বৃহস্পতিবার রাতেই জার্সি পাল্টে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবারের রাতের প্রার্থী তালিকায় নাম ছিল না সোনামুখীর প্রাক্তন পুর প্রধান কুশল বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তারপরেই রাতেই দলবদলের সিদ্ধান্ত নেন ওই সিপিএম নেতা। তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলোক মুখোপাধ্যায়। আর এই দলবদলে তৃণমূলের শিবিরে বাড়তি অক্সিজেন মিলেছে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের। সোনামুখী পুরসভায় ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সিপিএমের পুরপ্রধান ছিলেন কুশল বন্দ্যোপাধ্যায়। সামলেছেন সোনামুখী এরিয়া কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব। কিন্তু তাঁকেই প্রার্থী না করায় ক্ষোভে তৃণমূলে নাম লেখান ওই সিপিএম নেতা।
ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়ে কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘বিজেপিকে যদি ভারতমুক্ত করতে হয়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে হবে। যেটা সিপিএমের দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, বিজেপিকে মুক্ত করতে গেলে সমস্ত বিরোধী দলকে এক কাট্টা হতে হবে। এটা প্রথমত রাজনৈতিক লাইন। দ্বিতীয়ত, উন্নয়নটা যেভাবে এই দশ বছরে তরান্বীত হয়েছে, তাকে আরও এগিয়ে নিতে যেতে হবে। আমি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি, সাধারণ সৈনিক হিসাবে। সিপিএমের প্রতি আর কোনও মোহ নেই। সব মোহ ত্যাগ করে চলে এসেছি।’ তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এটা তো জলের মতো স্বচ্ছ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সর্বভারতীয় নেত্রী। তাঁর নেতৃত্বে যে উন্নয়নের ধারা এ টু জেড-সেটাই আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমি কোনও ধান্দাবাজি করতে যাচ্ছি না। মানুষের চাকর হিসাবে কাজ করছি।’