নিজস্ব প্রতিনিধি, বসিরহাট: শূন্যের উপর ৩০০ মিটারের বাঁশের ঝুলন্ত সেতু ।৩০ রকমের হরেক রকমের রংবড়ঙ্গের ফুলের বাহার দেখতে হংকং পার্কে(Hang Kang Park) কার না যেতে ইচ্ছা করবে। শীত পরতেই চড়ুইভাতির টানে শহরের কংক্রিট ইট পাথরের জঙ্গল ছাড়িয়ে গ্রামের দিকে ঝোঁকেন পর্যটকরা। একটু আলাদা অনুভূতি শীতের রোদ মাখা তাপ নিতে, গ্রামের প্রকৃতির কোলে যেতে কার না ইচ্ছা করে।দুচোখ ভরে সবুজ অরণ্য আর শ্বাস ভরে অক্সিজেন নিতে পর্যটকদের নতুন নতুন ডেস্টিনেশন। বছরের শেষ দিকে নতুন বছরের প্রথম দিকে ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছা হয় সবারই।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট (Bashirhat)মহকুমার বসিরহাটের দু’নম্বর ব্লকের খোলাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিবিপুর দ্বীপ বেরিয়া কুড়ি বিঘা জমির উপর বিশাল জলাশয়। চারিদিকে অরণ্য মাটির পাহাড়। আর বিভিন্ন কল কাকলি পাখির কুঞ্জন, বিভিন্ন পাহাড়ি সবুজ গাছের মেলবন্ধন। সেখানে রয়েছে ৩০ রকমের রংবেরঙের বাহারি ফুল। কি নেই ? সূর্যমুখী ,ডালিয়া, গোলাপ নয়ন তারা, নীলকন্ঠ ও হরেক রকমের রং বেরঙ্গের বাহারি ফুলের দৃশ্য। আর জলাশয়ে বটিং বাড়তি পাওনা পর্যটকদের। এবারের নতুন সংযোজন হংকং পার্কে ৩০০ মিটার বাঁশ জালের ঝুলন্ত সেতু । শূন্যের উপরে ঝুলছে এই সেতু ।
যা পর্যটকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। শীত পড়তেই হংকং পার্কে ভিড় জমাচ্ছেন ভ্রমণপিপাসুরা। টিকিট মাত্র ১০ টাকা। পিকনিক করার জন্য জায়গা ভাড়া ২৫০ টাকা। বারাসাত থেকে টাকি রোড ধরে সরকারি ও বেসরকারি বাসে রঘুনাথপুর গন্তব্য নেমে বা শিয়ালদা থেকে হাসনাবাদ লোকাল ট্রেনে চাঁপাপুকুর স্টেশনে আসতে হবে। সেখানে নেমে সোজা রঘুনাথপুর(Raghunathpur) ১০ কিলোমিটার রাস্তা। যেকোনো ছোট গাড়িতে। তারপর সেখান থেকে অটো ধরে সোজা পাঁচ কিলোমিটার দূরে গ্রাম্য পরিবেশে এই হংকং পার্ক। পর্যটকদের কাছে এ বছরের নতুন পাওনা। তাই শীত পড়তেই ভিড় জমাচ্ছেন দূর দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা।