স্বাস্থ্যসাথীতে কোনঠাসা বিজেপি! ইতিবাচক ভোটের সন্ধানে গেরুয়া
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় বলে ওস্তাদের মার শেষ রাতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল সেই মাস্টারস্ট্রোকটাই দিয়ে দিয়েছেন। রাজ্যের ১০ কোটি মানুষকে এক ঘোষণায় নিয়ে চলে এসেছেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায়। আর এই ঘোষণাতেই কার্যত নাজেহাল দশা এখন গেরুয়া শিবিরের। কারন তাঁরা আর চেঁচাতে পারছে না যে রাজ্যবাসী বিনামূল্যের স্বাস্থ্যপরিষেবা বা স্বাস্থ্যবিমা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে। কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণে বিজেপি নেতাদের মুখে কুলুপ এঁটে দিয়েছে। এতদিন বিজেপির নেতারা দোরে দোরে বাড়ি বাড়ি ঘুরে, মিটিং-মিছিলে সভাসমিতি করে বারংবার একটি অভিযোগ করে গিয়েছেন যে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প লাগু করতে দিচ্ছে না বলে রাজ্যবাসী বঞ্চিত হচ্ছে। বাস্তব তথ্য কিন্তু এটাই যে কেন্দ্রের প্রকল্প চালু করতে হলে রাজ্যকেই ৬০ শতাংশ খরচ বহন করতে হত, অথচ মাত্র ৪০ শতাংশ অর্থ দিয়ে নাম কিনতো কেন্দ্র। সেই সঙ্গে রাজ্যের মাত্র দেড় কোটি মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় আসতেন। অথচ এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে সুবিধা পেতে চলেছেন ১০ কোটি মানুষ। স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্রের প্রকল্প চালু করার জন্য আর গলা ফাটাতে পারছে না বিজেপির নেতারা।
এই ধাক্কার পাশাপাশি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এতদিন বাদে উপলব্ধি করতে পেরেছে যে শুধু মমতা বিরোধীতা বা তৃণমূল বিরোধীতা করে ২০০ আসন পাওয়া তো দূর কী বাত ১০০ আসনও জুটবে না। ১০০’র গন্ডি পার হতে হলে আর রাজ্যে নতুন করে পরিবর্তন ঘটাতে হলে ইতিবাচক ভোটও চাই। সেই ইতিবাচক ভোটের সন্ধানেই এখন মাঠে নামতে চলেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও তা কতখানি ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কারন রাজ্য বিজেপির নেতানেত্রীরা যে ভাষায় শাসক দলকে আক্রমণ শুরু করেছেন তা বাংলার মানুষকে বিজেপি বিমুখ করে তুলেছে। সমাজের বিদ্বজন থেকে বুদ্ধিজীবি, শিক্ষিত থেকে খেটে খাওয়া মানুষ সবাই মুখ ঘোরাতে শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির থেকে। তাই ইতিবাচক ভোট কোথা থেকে আসবে তা নিয়েই ঘোর সন্দেহ রয়েছে খোদ রাজ্য বিজেপি শিবিরের একাংশের মধ্যেই। যদিও তা গায়ে মাখতে রাজি নয় দিলীপ ঘোষের স্যাঙাতরা। তাঁরা মজে র্যেছে বিদ্বেষ বাক্যেই। মুখ্য দিয়ে অবিরত তাঁদের ঝড়ে চলেছে বিষময় শব্দ।
বিজেপির এই বিদ্বেষকে গতকালও সাংবাদিক বৈঠকে একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘যাঁরা বাংলায় এসে দাঙ্গা, হাঙ্গামা করে তাঁরাই বহিরাগত। ধর্মের রাজনীতি ছাড়া বিজেপি অচল।’ এই অবস্থায় রাজ্যের অভিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অনেকেই মনে করছেন, প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার লাভ অনেকখানি তুলতে পারে বিজেপি। মমতা বিরোধী ভোটের সিংহভাগও যেতে পারে তাদের ইভিএমে। তবে ইতিবাচক ভোট না পেলে ২০০ আসন পাওয়া তো দূর কী বাত, ১০০ আসন পর্যন্তও পৌঁছনো প্রায় অসম্ভব। আর সেই ইতিবাচক ভোট আনতে হলে রাজ্যবাসীর সামনে ভালো মুখ, ভালো নেতৃত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি তুলে ধরতে হবে দলের উন্নয়নমুখী সুস্পষ্ঠ নীতি। তৃণমূলকে সরিয়ে রাজ্যে বিজেপির সরকার এলে তাঁরা রাজ্যের উন্নয়নে কী করবে তা তুলে ধরতে হবে। কর্মসংস্থান, শিল্প, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিকল্প নীতি ভোটারদের সামনে রাখতে হবে গেরুয়া শিবিরকে। কিন্তু সে সব না করে যদি শুধুমাত্র উগ্র মমতা আর তৃণমূল বিরোধীতাকেই তলে ধরা হয় তাহলে ৫০টি আসনও রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে জুটবে না বিজেপির।
এই ধাক্কার পাশাপাশি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এতদিন বাদে উপলব্ধি করতে পেরেছে যে শুধু মমতা বিরোধীতা বা তৃণমূল বিরোধীতা করে ২০০ আসন পাওয়া তো দূর কী বাত ১০০ আসনও জুটবে না। ১০০’র গন্ডি পার হতে হলে আর রাজ্যে নতুন করে পরিবর্তন ঘটাতে হলে ইতিবাচক ভোটও চাই। সেই ইতিবাচক ভোটের সন্ধানেই এখন মাঠে নামতে চলেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও তা কতখানি ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কারন রাজ্য বিজেপির নেতানেত্রীরা যে ভাষায় শাসক দলকে আক্রমণ শুরু করেছেন তা বাংলার মানুষকে বিজেপি বিমুখ করে তুলেছে। সমাজের বিদ্বজন থেকে বুদ্ধিজীবি, শিক্ষিত থেকে খেটে খাওয়া মানুষ সবাই মুখ ঘোরাতে শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির থেকে। তাই ইতিবাচক ভোট কোথা থেকে আসবে তা নিয়েই ঘোর সন্দেহ রয়েছে খোদ রাজ্য বিজেপি শিবিরের একাংশের মধ্যেই। যদিও তা গায়ে মাখতে রাজি নয় দিলীপ ঘোষের স্যাঙাতরা। তাঁরা মজে র্যেছে বিদ্বেষ বাক্যেই। মুখ্য দিয়ে অবিরত তাঁদের ঝড়ে চলেছে বিষময় শব্দ।
বিজেপির এই বিদ্বেষকে গতকালও সাংবাদিক বৈঠকে একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘যাঁরা বাংলায় এসে দাঙ্গা, হাঙ্গামা করে তাঁরাই বহিরাগত। ধর্মের রাজনীতি ছাড়া বিজেপি অচল।’ এই অবস্থায় রাজ্যের অভিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অনেকেই মনে করছেন, প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার লাভ অনেকখানি তুলতে পারে বিজেপি। মমতা বিরোধী ভোটের সিংহভাগও যেতে পারে তাদের ইভিএমে। তবে ইতিবাচক ভোট না পেলে ২০০ আসন পাওয়া তো দূর কী বাত, ১০০ আসন পর্যন্তও পৌঁছনো প্রায় অসম্ভব। আর সেই ইতিবাচক ভোট আনতে হলে রাজ্যবাসীর সামনে ভালো মুখ, ভালো নেতৃত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি তুলে ধরতে হবে দলের উন্নয়নমুখী সুস্পষ্ঠ নীতি। তৃণমূলকে সরিয়ে রাজ্যে বিজেপির সরকার এলে তাঁরা রাজ্যের উন্নয়নে কী করবে তা তুলে ধরতে হবে। কর্মসংস্থান, শিল্প, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিকল্প নীতি ভোটারদের সামনে রাখতে হবে গেরুয়া শিবিরকে। কিন্তু সে সব না করে যদি শুধুমাত্র উগ্র মমতা আর তৃণমূল বিরোধীতাকেই তলে ধরা হয় তাহলে ৫০টি আসনও রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে জুটবে না বিজেপির।
More News:
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
মানুষের ছ'কোটি মেরেছে শুভেন্দু, চিঠি হাতিয়ার করে তোপ অভিষেকের
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
ফেব্রুয়ারিতে স্কুল খুলবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রীই
23rd January 2021
সারা জীবন উৎসর্গ করেও যোগ্য সম্মান পাননি নেতাজি, মুখ খুললেন অনিতা পাফ
23rd January 2021
23rd January 2021
Leave A Comment