এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাজ্যপাল বাংলার উচ্চশিক্ষা নিয়ে ছেলেখেলা করছেন, অভিমত শিক্ষাবিদদের

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজভবন(Raj Bhawan) থেকে রাজ্য সরকারের সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর অভিযোগ আগেই উঠেছিল। এবার উঠল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা নিয়ে ছেলেখেলা করার অভিযোগ। প্রথম। শুক্রবার সকালে কালিম্পং কলেজে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস(C V Anand Bose) ঘোষণা করে দেন যে, ‘এ বার বাংলা(Bengal) এক জন পড়ুয়া-উপাচার্য(Student Vice Chancellor) পাবে। উজ্জ্বল এবং সেরা পড়ুয়া। তিনি হয়তো গবেষণা করছেন। তবে অতি সত্বর উপাচার্য হবেন। ভারতে প্রথম।’ তাঁর এই বক্তব্য নিয়েই এখন জোর বিতর্ক বেঁধেছে বাংলার শিক্ষাজগতে। রাজ্যের শিক্ষাবিদদের একাংশের অভিযোগ, রাজ্যপাল রাজনীতি করতেই বাংলায় এসেছেন। তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করার বদলে রাজভবনে বসে সমান্তরাল সরকার চালানোর চেষ্টা করছেন। এবার তো রীতিমত বাংলার উচ্চশিক্ষা নিয়ে ছেলেখেলা শুরু করলেন।

আরও পড়ুন বন্ধ হতে পারে রাজ্যের প্রায় সাড়ে ৪০০ বেসরকারি স্কুল

রাজ্যপালের বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক বাঁধতেই রাজভবন থেকে জানানো হয়েছে, সেই সব উজ্জ্বল পডুয়া যাঁরা স্নাতকোত্তরে খুব ভাল করেছেন, পড়াশোনা এবং গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্য থেকে কাউকে কাউকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য করা হতে পারে। যদিও ‘পড়ুয়া-উপাচার্য’ এবং পড়ুয়াদের মধ্য থেকে ‘অন্তর্বর্তী উপাচার্য’ বলতে ঠিক কী বোঝাতে চাওয়া হয়েছে, তা নিয়ে ধন্দে শিক্ষা জগতের অনেকে। বিতর্ক দানা বাঁধতেই এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu)। তিনি জানিয়েছেন, ‘কে, কোথায়, কী বলেছেন সে সম্পর্কে আমার কাছে এখনও নির্দিষ্ট খবর নেই। তবে পড়ুয়াদের উপাচার্য করার ভাবনা প্রসঙ্গে এটুকুই বলার যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা UGC উপাচার্য পদে নিয়োগের মাপকাঠি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। তাতে বলা আছে, যিনি উপাচার্য হবেন, তাঁর অন্তত দশ বছর অধ্যাপক পদে পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যিনি দশ বছর অধ্যাপক পদে থাকবেন, তাঁর সামগ্রিক পড়ানোর অভিজ্ঞতা প্রায় কুড়ি বছরে গিয়ে দাঁড়াবে।’

আরও পড়ুন ফালাকাটায় আজ অভিষেকের সভা, তাকিয়ে আছেন জনতা

উল্লেখ্য, বাংলা সহ দেশের প্রায় সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই UGC’র তরফে উপাচার্য বাছাইয়ের জন্য উচ্চ শিক্ষায় বিশিষ্টজনদের নিয়ে Search Committee গড়ার কথা বলা রয়েছে। বলা হয়েছে, উপাচার্য পদে তিন-পাঁচ জনের প্যানেলে প্রার্থী বাছার ক্ষেত্রে Search Committee-কে সম্ভাব্য প্রার্থীর দেশ-বিদেশে উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষা-প্রশাসন সম্পর্কে যথাযথ অভিজ্ঞতা রয়েছে কি না, তাতে গুরুত্ব দিতে হবে। সে সূত্রেই প্রশ্নে উঠেছে গবেষণারত পড়ুয়াদের আদৌ তেমন অভিজ্ঞতা থাকা সম্ভব কি না। উত্তরবঙ্গের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন উপাচার্য বলেন, ‘ছাত্র হিসাবে সেরা হলেও, যাঁরা পড়ুয়া তাঁদের কী করে উপাচার্য করা যাবে? এমন কথার মানে বুঝতে পারছি না! দেখে মনে হচ্ছে উনি বাংলার উচ্চশিক্ষা নিয়ে ছেলেখেলা করতে নেমে পড়েছেন। এটা কাম্য নয় কখনই।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বুধবার শ্রীরামপুরে প্রচারে মুখোমুখি কল্যাণ- দীপ্সিতা, উঠলো স্লোগান, গাইলেন রবীন্দ্র সংগীত

রাণাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর হয়ে প্রচারে দেব

বাংলায় ইন্ডিয়া জোট না হওয়ার দায় অধীরের ঘাড়ে চাপালেন অভিষেক

মোবাইল চুরি চক্রের পর্দা ফাঁস নিউ ব্যারাকপুর থানার

কেন লকেটের বিরুদ্ধে ‘অনভিজ্ঞ’ রচনা, খোলসা করলেন মমতা

বঙ্গে রবিবার পর্যন্ত চলবে ঝড়-বৃষ্টি, আগামী সপ্তাহে ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর