এখনই সতর্ক না হলে বাড়বে বিপদ!কোভিডে উদ্বিগ্ন রাজ্য
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: সবাই বলছেন কোভিডের প্রকোপ চলে গিয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। যদিও কিবা রাজ্য সরকার কিবা কেন্দ্র সরকার কেউই কিন্তু এই ধরনের কোনও ঘোষণা করেনি। আনলক পর্ব যেমন এখনও চলছে তেমনি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে ট্রেন চলাচলও কিন্তু এখনও স্বাভাবিক হয়নি কিবা দেশে কিবা বঙ্গে। অথচ রাজ্যের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশই এখন আর কোনওরকম সতর্কতা মানছেন না। তাঁরা না ব্যভার করছেন মাস্ক, না ব্যবহার করছেন স্যানিটাইজার। এমনকি শারীরিক দূরত্বও মেনে চলার বিধিটাও তাঁরা মানছেন না। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকার কেরল, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশ সরকারকে সতর্ক করেছে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে। সেই তালিকায় বাংলা নেই ঠিকই কিন্তু এ রাজ্যে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, বাংলায় নমুনা পরীক্ষার নিরিখে আক্রান্তের হার এখন ১.০২ শতাংশ। কিছুদিন আগেও কিন্তু এই আক্রান্তের হার ০.৭ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। যদিও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত দৈনিক করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, আবারও কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও পুরুলিয়ার মতো জেলাতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, পু্রুলিয়ায় গত চব্বিশ ঘণ্টায় ২১ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা এখন কমেছে। কিন্তু পু্রুলিয়ার মতো জেলার পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে টেস্টের সংখ্যা বাড়লে কেস বাড়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। উদ্বেগের এই সম্ভাবনার মধ্যে কোভিড নিয়ে সাধারন মানুষের সচেতনতার অভাব ও উদাসীনতার জেরে এই রাজ্যে বিপদ এখন বাড়ছে বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তাঁদের বক্তব্য, গণটিকাকরণ প্রক্রিয় এখনও শুরু করা যায়নি। প্রথম টিকা নেওয়ার পরে দ্বিতীয় টিকা কবে নিলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বাড়বে তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। পাশাপাশি, ভাইরাসের চরিত্রে বদল ঘটলে হাতের মুঠোয় থাকা দুই ভ্যাকসিন আদৌ রক্ষাকবচ হিসাবে প্রমাণিত হবে কি না তা-ও স্পষ্ট নয়। অথচ আমজনতা এমন একটা ভাব করছেন যেন দেশ থেকেই কোভিডের প্রকপ চলে গিয়েছে। কেউ কিছুই মানছেন না। দোকানবাজারেও এখন মাস্ক আর স্যানিটাইজারের বিক্রি করে গিয়েছে। এই অবস্থায় যদি কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ বাংলায় কোনওভাবে চলে আসে তাহলে কিন্তু পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে যাবে। মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্নাটকে করোনার বর্তমান পরিস্থিতি দেখে, বাংলার মানুষের অন্তত এখন সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা স্পষ্ট জানাচ্ছেন, বঙ্গে সংক্রমণের হার, মৃতের সংখ্যা কম দেখে উচ্ছ্বাসের কারণ নেই। বিভিন্ন রাজ্যে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে স্পষ্ট যে, মানব শরীরে হানা দিতে কোভিড-১৯ ভাইরাস চারিত্রিক পরিবর্তন শুরু করেছে। এ রাজ্যেও করোনার দ্বিতীয় দাপট বা সেকেন্ড ওয়েভ আসবে না, সেটা কেউ বলতে পারছেন না।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সমস্ত অতিমারিতেই দ্বিতীয় ঢেউ আসে। প্রথম পর্বের পরে সংক্রমণের হার কমতে শুরু করে। কখনও শূন্য হয়ে যায়। তার অর্থ এই নয় যে, সেটি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। শ্বাসতন্ত্রের উপরে সংক্রমণ ছড়ায় যে সমস্ত ভাইরাস, নিষ্ক্রিয় থাকায় সময়ে সেগুলিতে ‘মিউটেশন’ হয়। অথচ সংক্রমণের হার কমছে দেখে মানুষেরও গা ছাড়া মনোভাব তৈরি হয়। ঠিক তখনই মিউটেটেড এবং শক্তিশালী ভাইরাস ফিরে এসে সেই সুযোগকেই কাজে লাগায়। আরও শক্তিশালী হয়ে তারা হানা দেয় মানুষের শরীরে। তখন কিন্তু প্রথমবারের থেকে আরও অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হন, মারাও যান। আগের বার মহারাষ্ট্র, দিল্লির পরেই কিন্তু বাংলায় আছড়ে পড়েছিল কোভিডের ঢেউ। আবারও সেই মহারাষ্ট্র ও কেরলের মতো রাজ্যে করোনার প্রভাব বাড়ছে। তার জেরে এ রাজ্যেও সেই ঢেউ চলে আসতেই পারে। তাই মানুষকে এখন আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। যদিও বাস্তবে তার উল্টোটাই দেখা যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, বাংলায় নমুনা পরীক্ষার নিরিখে আক্রান্তের হার এখন ১.০২ শতাংশ। কিছুদিন আগেও কিন্তু এই আক্রান্তের হার ০.৭ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। যদিও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত দৈনিক করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, আবারও কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও পুরুলিয়ার মতো জেলাতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, পু্রুলিয়ায় গত চব্বিশ ঘণ্টায় ২১ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা এখন কমেছে। কিন্তু পু্রুলিয়ার মতো জেলার পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে টেস্টের সংখ্যা বাড়লে কেস বাড়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। উদ্বেগের এই সম্ভাবনার মধ্যে কোভিড নিয়ে সাধারন মানুষের সচেতনতার অভাব ও উদাসীনতার জেরে এই রাজ্যে বিপদ এখন বাড়ছে বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তাঁদের বক্তব্য, গণটিকাকরণ প্রক্রিয় এখনও শুরু করা যায়নি। প্রথম টিকা নেওয়ার পরে দ্বিতীয় টিকা কবে নিলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বাড়বে তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। পাশাপাশি, ভাইরাসের চরিত্রে বদল ঘটলে হাতের মুঠোয় থাকা দুই ভ্যাকসিন আদৌ রক্ষাকবচ হিসাবে প্রমাণিত হবে কি না তা-ও স্পষ্ট নয়। অথচ আমজনতা এমন একটা ভাব করছেন যেন দেশ থেকেই কোভিডের প্রকপ চলে গিয়েছে। কেউ কিছুই মানছেন না। দোকানবাজারেও এখন মাস্ক আর স্যানিটাইজারের বিক্রি করে গিয়েছে। এই অবস্থায় যদি কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ বাংলায় কোনওভাবে চলে আসে তাহলে কিন্তু পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে যাবে। মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্নাটকে করোনার বর্তমান পরিস্থিতি দেখে, বাংলার মানুষের অন্তত এখন সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা স্পষ্ট জানাচ্ছেন, বঙ্গে সংক্রমণের হার, মৃতের সংখ্যা কম দেখে উচ্ছ্বাসের কারণ নেই। বিভিন্ন রাজ্যে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে স্পষ্ট যে, মানব শরীরে হানা দিতে কোভিড-১৯ ভাইরাস চারিত্রিক পরিবর্তন শুরু করেছে। এ রাজ্যেও করোনার দ্বিতীয় দাপট বা সেকেন্ড ওয়েভ আসবে না, সেটা কেউ বলতে পারছেন না।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সমস্ত অতিমারিতেই দ্বিতীয় ঢেউ আসে। প্রথম পর্বের পরে সংক্রমণের হার কমতে শুরু করে। কখনও শূন্য হয়ে যায়। তার অর্থ এই নয় যে, সেটি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। শ্বাসতন্ত্রের উপরে সংক্রমণ ছড়ায় যে সমস্ত ভাইরাস, নিষ্ক্রিয় থাকায় সময়ে সেগুলিতে ‘মিউটেশন’ হয়। অথচ সংক্রমণের হার কমছে দেখে মানুষেরও গা ছাড়া মনোভাব তৈরি হয়। ঠিক তখনই মিউটেটেড এবং শক্তিশালী ভাইরাস ফিরে এসে সেই সুযোগকেই কাজে লাগায়। আরও শক্তিশালী হয়ে তারা হানা দেয় মানুষের শরীরে। তখন কিন্তু প্রথমবারের থেকে আরও অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হন, মারাও যান। আগের বার মহারাষ্ট্র, দিল্লির পরেই কিন্তু বাংলায় আছড়ে পড়েছিল কোভিডের ঢেউ। আবারও সেই মহারাষ্ট্র ও কেরলের মতো রাজ্যে করোনার প্রভাব বাড়ছে। তার জেরে এ রাজ্যেও সেই ঢেউ চলে আসতেই পারে। তাই মানুষকে এখন আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। যদিও বাস্তবে তার উল্টোটাই দেখা যাচ্ছে।
More News:
2nd March 2021
2nd March 2021
1st March 2021
1st March 2021
1st March 2021
1st March 2021
1st March 2021
1st March 2021
Leave A Comment