নিজস্ব প্রতিনিধি, বালুরঘাট: বৈদেশিক বানিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের নয়া শুল্কনীতি নিয়ে বিপাকে ভারতীয় চাল রফতানিকারকরা। একলাফে দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ানো হয়েছে শুল্ক। আগামী মাস থেকেই তা লাগু হবে। তার আগে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা চালভর্তি লরিগুলি দ্রুত ওপার বাংলায় পাঠানোর জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ চাল রফতানীকারকরা।
বাংলাদেশ সরকারের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে বাংলাদেশে চাল রফতানি করার জন্য ৬১ শতাংশ কর দিতে হবে। যেটা আগে ছিল ২৫ শতাংশ। নতুন এই নিয়মের জেরে সমস্যায় পড়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের চাল রফতানিকারকরা। শনিবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দের সঙ্গে তাঁরা দেখা করেন। দাবি করেন, যে সমস্ত চালের গাড়ি হিমি সীমান্তে আটকে রয়েছে সেগুলিকে লাইন থেকে বের করে দ্রুত হিলি স্থলবন্দরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। যাতে ১ নভেম্বরের আগেই গাড়িগুলি ওপারে গিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ভারতে ফিরে আসতে পারে। তবেই একমাত্র বিপুল ক্ষতির মুখ থেকে তাদের ফিরে পাওয়ার পথ।
এক রফতানিকারক জানান, আগেও ৬১ শতাংশ কর দিতে হত। কিন্তু মাঝে সে দেশে চালের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই শুল্ক কমিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এখন নতুন ধান ওঠার কথা। যাতে সে দেশের কৃষকরা ক্ষতির মুখে না পড়ে সেকারণেই একধাপে এতটা শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জানান, ফের শুল্ক না কমা পর্যন্ত বাংলাদেশে চাল রফতানি বন্ধ থাকবে।