নিজস্ব প্রতিনিধি: কবি জয়দেবের জন্মস্থানের জনপ্রিয় মেলাতেও রাশ টানল প্রশাসন। করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের জয়দেব কেন্দুলি গ্রামে মকর সংক্রান্তির দিন বসে এই মেলাটি। অজয় নদের পারে এই মেলাকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্পে বিশেষ ছাপ পরে বীরভূমে। রাজা লক্ষ্ণণ সেনের সভাকবি জয়দেবের উদ্যোগেই বীরভূমের অন্যতম সংস্কৃতি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে জয়দেব-কেন্দুলি গ্রাম। বর্ধমানের মহারানি ব্রজকিশোরীর উদ্যোগে ১৬৮৩ সালে জয়দেবে রাধবিনোদ মন্দির তৈরি করা হয়। প্রতি বছর মকর সংক্রান্তিতে জয়দেব মেলা বসে। কিন্তু চলতি বছরে করোনা কাঁটায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন।
তবে মকর সংক্রান্তির পূণ্য তিথিতে অজয় নদীতে স্নান করাতে লাগাম টানেনি প্রশাসন। কম সংখ্যক মানুষকে নিয়েই ভিড় এড়িয়ে অজয় নদের স্নানে ছাড় দিয়েছে প্রশাসন। এই বিষয়ে এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ‘সারা বছর আমরা মেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকি। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ আসেন এই মেলায়। এলাকার অর্থনীতি মেলার উপর অনেকটা নির্ভর করে। তাই মেলা বন্ধ হলে সমস্যা তো হবেই।’ জয়দেব মেলাকে কেন্দ্র করে পুণ্য স্নান ছাড়াও প্রচুর ব্যবসায়ী ও বাউল, ফকিররা আসতেন এই মেলায়। সর্বধর্মের প্রচারের সঙ্গেই চলত নানান সামগ্রীর বিকিকিনি। বাউল, কীর্তন এবং সুফি গানের আসরে ভিড় জমান দেশ, বিদেশ থেকে আসা হাজার হাজার মানুষ। বিভিন্ন আখড়াতে বিনামূল্যে মেলে দু’বেলা ভোগ।
তাই করোনা আবহে সেই ভিড় এড়াতেই শুক্রবার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন।