নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের খবরের শিরোনামে বিশ্বভারতী। পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ণ নিয়ে ত্রুটিপূর্ণ রেজাল্ট তৈরি করে বিপাকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আর সবটাই হচ্ছে বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময়েই। এতদিন বিশ্বভারতীতে উপাচার্যের বদানত্বায় ক্লাস বয়কট চলছিল, ঘেরাও হন উপাচার্য। বাধ্য হয়েই আদালতের নির্দেশেই অচল অবস্থা কাটে বিশ্বভারতীর। যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতরে ধমক খেয়েছেন বর্তমান বিশ্বভারতীর উপাচার্য। এবার ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিয়ে ২০০ পাওয়ায় অবাক পরীক্ষার্থীরা।
ঘটনা হয়েছে, বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনের এমএড-এর মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পড়ুয়াদের। এমন ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। কর্তৃপক্ষের এমন কাণ্ড দেখে হতবাক তাঁরা। অথচ পড়ুয়াদের প্রশ্নের উত্তর নেই কর্তৃপক্ষের কাছে। চলতি বছরে বিনয় ভবনে এমএড পাঠক্রমে ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়েছিল গত ১৪ সেপ্টেম্বর। পরীক্ষা দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ওই পাঠক্রমটির ৫০টি আসনের মধ্যে ২৫টি অভ্যন্তরীণ এবং ২৫টি আসন বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষিত থাকেই। ১০০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে ৬০ নম্বর লিখিত এবং ৪০ নম্বর আগের পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ধারিত হয়। পরীক্ষার পর মেধাতালিকার ভিত্তিতেই ভর্তির সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা।
আর এতেই ঘটেছে বিপত্তি, দু’জন পড়ুয়া পেয়েছেন ১০০-এর বেশি নম্বর। একজন পেয়েছেন ১৯৮ ও অপরজনের প্রাপ্ত নম্বর ২০০। কিন্তু কীভাবে? কিছুতেই সেই প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছেন না পড়ুয়ারা। এমএড পরীক্ষা দেওয়া দুই পড়ুয়া সমাজবিজ্ঞানের কোর্সের অন্তর্ভুক্ত।