কৃষ্ণেন্দুর রণকৌশলে স্তব্ধ মোদি হাওয়া! মানতে নারাজ বিজেপি
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই আসন থেকে বিজেপি প্রায় ৯০ হাজার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে এগিয়ে ছিল। তার জেরেই রাজ্যের শাসক দল এখানকার লোকসভা নির্বাচন থেকে জয়ী তো হতেই পারেনি, উপরন্তু গেরুয়া ঝড়ে প্রায় কুপোকাত হয়ে পড়েছিলেন কংগ্রেস তথা মালদহের রূপকার প্রয়াত এ বি এ গনি খান চৌধুরীর ভাই তথা কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। যদিও শেষ হাসি তিনিই হেসেছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার দুটি আসন থেকে লিড পাওয়ায়। এবার পালা বিধানসভা নির্বাচনের। সেখানে কিন্তু কার্যত অগ্নিপরীক্ষার মুখে তৃণমূলের প্রার্থী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। আর বিধানসভা কেন্দ্রের নাম, ইংরেজবাজার।
ইংরেজবাজার কেন্দ্রটিতে এবার কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। উদ্দেশ্য একটাই মাটি ফিরে পাওয়া। ২০১১ সালের পর উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে এই কেন্দ্রটি থেকে জিতেছিলেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো ভরসা রেখেছেন তাঁর ওপরেই। আর কৃষ্ণেন্দুবাবুর প্রচার অভিযান ম্রিয়মান হয়ে পড়েছে এই কেন্দ্রের গেরুয়া শিবির। বিজেপি প্রার্থী করেছে লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিন মালদা কেন্দ্রে পরাজিত প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই কেন্দ্রের ভোটারদের মনে তেমন সাড়া ফেলতে পারেননি তিনি। তাঁর একমাত্র অস্ত্র মোদি হাওয়া। কিন্থু কৃষ্ণেন্দুবাবুর রণকৌশলে সেই মোদি হাওয়া এই কেন্দ্রে আপাতত স্তব্দ হয়ে পড়েছে।
ইংরেজবাজার বিধানসভাটি নিজের হাতের তালুর মতন চেনেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। কোন অঞ্চলে কী কী সমস্যা তা কৃষ্ণেন্দুবাবুর নখদর্পনে রয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রীসভার সদস্য হিসাবে কৃষ্ণেন্দুবাবু এই জেলার অর্থকরী ফসল আমকে ব্যবসায়ী মুনাফাতে পরিণত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে ছিলেন। শুধু তাই নয় পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী থাকাকালীন জেলার পর্যটন শিল্পে গতি এনেছিলেন। জেলার ঐতিহাসিক স্থান গৌড়, আদিনা, পান্ডুয়াকে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় এই সব জায়গায় ইকো টুরিজম খোলার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। যা আজ বাস্তব রূপ পেয়েছে। এছাড়াও প্রায় ১৫০ বছরের পুরোনো ইংরেজবাজার পুরসভাকে আধুনিকতা ছোঁয়ার মোড়কে সাজিয়ে তুলেছিলেন পুরসভার পুরপতি থাকাকালীন সময়ে। এই কর্মকান্ড সকলেরই নজরে রয়েছে। ফলে এই নির্বাচনে কৃষ্ণেন্দুবাবুর অ্যাডভ্যানটেজ অনেক। নতুন করে কৃষ্ণেন্দুবাবু কাজের মানুষ এমন পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ফলে আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর চেয়ে কয়েকধাপ এগিয়ে রয়েছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু।
সেই ক্ষেত্রে বিজেপির কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যা হওয়া স্বত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোন উল্লেখযোগ্য ভুমিকা নেই শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর। উপরন্তু বদনাম রয়েছে লোকসভা নির্বাচনের পর গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। বিজেপি জেলা নেতৃত্ব থেকে সাধারণ ভোটারদের মুখে শোনা যায় এমন কথা। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে প্রার্থী করার কারণে অধিকাংশ বিজেপি কর্মীরা অখুশি। কার্যত তারা নির্বাচনে বসে পড়েছেন। আর এই সকল ফ্যাক্টরই অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে কৃষ্ণেন্দুবাবুকে। যদিও শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর দাবী ইংরেজবাজার কেন্দ্রের ভোটারদের আশির্বাদ তিনি পাবেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন সোনার বাঃলা তৈরী করতে এই জেলার ভোটার তাঁকে সমর্থন করবে।
এদিকে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানান, গত নির্বাচনের ভুলকে সংশোধন করে জনতার কাছে তিনি যাচ্ছেন। ইংরেজবাজারবাসীর সমর্থন বিগত নির্বাচনের চেয়ে অনেক বেশী। সংখ্যালঘু এলাকাবাসীদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ। লোকসভা নির্বাচনের মতন ফল এই নির্বাচনে হবে না। লোকসভা নির্বাচনে দলের পর্যবেক্ষক তথা সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারীর পরিকল্পনাতেই ইংরেজবাজারে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত হয়। সেই গদ্দার এখন দলে নেই। দলের অন্দরের নেতা কর্মীদের মতানৈক্য দুর হয়ে গেছে। এখন সকলেই ঐকমত্য। তাই এবার তৃণমূল কংগ্রেসই দখল করবে এই আসনটি।
ইংরেজবাজার কেন্দ্রটিতে এবার কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। উদ্দেশ্য একটাই মাটি ফিরে পাওয়া। ২০১১ সালের পর উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে এই কেন্দ্রটি থেকে জিতেছিলেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো ভরসা রেখেছেন তাঁর ওপরেই। আর কৃষ্ণেন্দুবাবুর প্রচার অভিযান ম্রিয়মান হয়ে পড়েছে এই কেন্দ্রের গেরুয়া শিবির। বিজেপি প্রার্থী করেছে লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিন মালদা কেন্দ্রে পরাজিত প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই কেন্দ্রের ভোটারদের মনে তেমন সাড়া ফেলতে পারেননি তিনি। তাঁর একমাত্র অস্ত্র মোদি হাওয়া। কিন্থু কৃষ্ণেন্দুবাবুর রণকৌশলে সেই মোদি হাওয়া এই কেন্দ্রে আপাতত স্তব্দ হয়ে পড়েছে।
ইংরেজবাজার বিধানসভাটি নিজের হাতের তালুর মতন চেনেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। কোন অঞ্চলে কী কী সমস্যা তা কৃষ্ণেন্দুবাবুর নখদর্পনে রয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রীসভার সদস্য হিসাবে কৃষ্ণেন্দুবাবু এই জেলার অর্থকরী ফসল আমকে ব্যবসায়ী মুনাফাতে পরিণত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে ছিলেন। শুধু তাই নয় পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী থাকাকালীন জেলার পর্যটন শিল্পে গতি এনেছিলেন। জেলার ঐতিহাসিক স্থান গৌড়, আদিনা, পান্ডুয়াকে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় এই সব জায়গায় ইকো টুরিজম খোলার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। যা আজ বাস্তব রূপ পেয়েছে। এছাড়াও প্রায় ১৫০ বছরের পুরোনো ইংরেজবাজার পুরসভাকে আধুনিকতা ছোঁয়ার মোড়কে সাজিয়ে তুলেছিলেন পুরসভার পুরপতি থাকাকালীন সময়ে। এই কর্মকান্ড সকলেরই নজরে রয়েছে। ফলে এই নির্বাচনে কৃষ্ণেন্দুবাবুর অ্যাডভ্যানটেজ অনেক। নতুন করে কৃষ্ণেন্দুবাবু কাজের মানুষ এমন পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ফলে আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর চেয়ে কয়েকধাপ এগিয়ে রয়েছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু।
সেই ক্ষেত্রে বিজেপির কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যা হওয়া স্বত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোন উল্লেখযোগ্য ভুমিকা নেই শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর। উপরন্তু বদনাম রয়েছে লোকসভা নির্বাচনের পর গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। বিজেপি জেলা নেতৃত্ব থেকে সাধারণ ভোটারদের মুখে শোনা যায় এমন কথা। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে প্রার্থী করার কারণে অধিকাংশ বিজেপি কর্মীরা অখুশি। কার্যত তারা নির্বাচনে বসে পড়েছেন। আর এই সকল ফ্যাক্টরই অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে কৃষ্ণেন্দুবাবুকে। যদিও শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর দাবী ইংরেজবাজার কেন্দ্রের ভোটারদের আশির্বাদ তিনি পাবেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন সোনার বাঃলা তৈরী করতে এই জেলার ভোটার তাঁকে সমর্থন করবে।
এদিকে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানান, গত নির্বাচনের ভুলকে সংশোধন করে জনতার কাছে তিনি যাচ্ছেন। ইংরেজবাজারবাসীর সমর্থন বিগত নির্বাচনের চেয়ে অনেক বেশী। সংখ্যালঘু এলাকাবাসীদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ। লোকসভা নির্বাচনের মতন ফল এই নির্বাচনে হবে না। লোকসভা নির্বাচনে দলের পর্যবেক্ষক তথা সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারীর পরিকল্পনাতেই ইংরেজবাজারে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত হয়। সেই গদ্দার এখন দলে নেই। দলের অন্দরের নেতা কর্মীদের মতানৈক্য দুর হয়ে গেছে। এখন সকলেই ঐকমত্য। তাই এবার তৃণমূল কংগ্রেসই দখল করবে এই আসনটি।
Leave A Comment