বাংলা দখলে মণীষী বন্দনাকে হাতিয়ার করে রাজ্যে জে পি নাড্ডা
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গে ভোটে জিততে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি মণীষীদের কথা মনে পড়েছে বিজেপির। পশ্চিমবঙ্গের মণীষীদের থেকে শত হস্ত দূরে থাকতেন গেরুয়া নেতারা। বঙ্গের মণীষীদের নামজপ করতে এর আগে দেখাও যায়নি। কিন্তু রাজ্যের নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে বিজেপির বাংলার মণীষী প্রীতি বাড়ছে। চলতি বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণার আগে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা পাঠ করেন। বাংলায় রাজনৈতিক প্রচার কিংবা সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনে বারবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দের নাম নিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। কারণ তাঁরা বুঝেই গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মাটির সঙ্গে, সংস্কৃতির সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ-গুজরাটের পার্থক্য রয়েছে।
তাই এবার বিজেপির মনীষি প্রীতির তালিকায় বাদ পড়ে যাওয়া বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও সাহিত্যিক বিভূতিভূষণের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন জে পি নাড্ডা। আগামী ২৫ তারিখ ফের রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। উত্তর ২৪ পরগণার নৈহাটিতে ওইদিন জনসভা করার কথা নাড্ডার। সেদিনেই একঝাঁক বাঙালি মনীষাকে শ্রদ্ধা জানানোর পরিকল্পনা করেছেন জগত প্রকাশ নাড্ডা। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর পাশাপাশি ব্যারাকপুরে মঙ্গল পান্ডের সমাধিতে মাল্যদান ও সাহিত্যিক বিভূতিভূষণের বাড়িতে যাওয়ার কথা নাড্ডার।
২১-এর ভোটের আগে বাঙালি আবেগকে পেতেই এই মণিষী প্রীতি বলে মনে করছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের কাছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাইরে বঙ্গে মণীষীর তালিকা ছিল ফাঁকা। কিন্তু বাংলার মানুষের কাছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কোনও গুরুত্ব না থাকায় বাঙালি আবেগে থাকা বঙ্কিমচন্দ্র চট্ট্যোপাধ্যায়, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অরবিন্দ ঘোষ, স্বামী বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, হরিচাঁদ ঠাকুর, শ্রীচৈতন্যদেবের কথাই বেশি করে মনে পড়ছে বিজেপি নেতৃত্বের। যদিও এই কার্যকলাপে বাঙালি আবেগ পাবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
গত সোমবার হুগলির ডানলপের মাঠে সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্ট্যোপাধ্যায়ের ভবন নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন সেই ভবনের উন্নয়ন হয়নি প্রশ্ন করে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন মোদি। সূত্রের খবর, সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর হলেও বামপন্থী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট সাহিত্যিক হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, ব্রাক্ষ্ম আন্দোলনের পুরোধা কেশবচন্দ্র সেন, আধুনিক বাংলা গানের খ্যতনামা শিল্পী, সুরকার, গীতিকার শ্যামল মিত্র, বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক সমরেশ বসু, বৈষ্ণব পদাবলি গানে স্বনামধন্য কানাই বৈরাগী সহ একাধিক বাঙালি মনীষিদের বাড়িতে বা মূর্তীতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
এরই সঙ্গে ২৫ তারিখ সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে বাংলার বিশিষ্ট জনদের সঙ্গে একটি আলোচনা চক্রের আয়োজন করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। অর্থাৎ উন্নয়ন কিংবা ব্যক্তি আক্রমণের রাজনীতিতে না পেরে বিজেপির বাংলা দখলের হাতিয়ার মণীষীরা, এটা বলাই যায়।
তাই এবার বিজেপির মনীষি প্রীতির তালিকায় বাদ পড়ে যাওয়া বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও সাহিত্যিক বিভূতিভূষণের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন জে পি নাড্ডা। আগামী ২৫ তারিখ ফের রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। উত্তর ২৪ পরগণার নৈহাটিতে ওইদিন জনসভা করার কথা নাড্ডার। সেদিনেই একঝাঁক বাঙালি মনীষাকে শ্রদ্ধা জানানোর পরিকল্পনা করেছেন জগত প্রকাশ নাড্ডা। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর পাশাপাশি ব্যারাকপুরে মঙ্গল পান্ডের সমাধিতে মাল্যদান ও সাহিত্যিক বিভূতিভূষণের বাড়িতে যাওয়ার কথা নাড্ডার।
২১-এর ভোটের আগে বাঙালি আবেগকে পেতেই এই মণিষী প্রীতি বলে মনে করছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের কাছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাইরে বঙ্গে মণীষীর তালিকা ছিল ফাঁকা। কিন্তু বাংলার মানুষের কাছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কোনও গুরুত্ব না থাকায় বাঙালি আবেগে থাকা বঙ্কিমচন্দ্র চট্ট্যোপাধ্যায়, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অরবিন্দ ঘোষ, স্বামী বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, হরিচাঁদ ঠাকুর, শ্রীচৈতন্যদেবের কথাই বেশি করে মনে পড়ছে বিজেপি নেতৃত্বের। যদিও এই কার্যকলাপে বাঙালি আবেগ পাবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
গত সোমবার হুগলির ডানলপের মাঠে সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্ট্যোপাধ্যায়ের ভবন নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন সেই ভবনের উন্নয়ন হয়নি প্রশ্ন করে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন মোদি। সূত্রের খবর, সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর হলেও বামপন্থী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট সাহিত্যিক হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, ব্রাক্ষ্ম আন্দোলনের পুরোধা কেশবচন্দ্র সেন, আধুনিক বাংলা গানের খ্যতনামা শিল্পী, সুরকার, গীতিকার শ্যামল মিত্র, বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক সমরেশ বসু, বৈষ্ণব পদাবলি গানে স্বনামধন্য কানাই বৈরাগী সহ একাধিক বাঙালি মনীষিদের বাড়িতে বা মূর্তীতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
এরই সঙ্গে ২৫ তারিখ সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে বাংলার বিশিষ্ট জনদের সঙ্গে একটি আলোচনা চক্রের আয়োজন করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। অর্থাৎ উন্নয়ন কিংবা ব্যক্তি আক্রমণের রাজনীতিতে না পেরে বিজেপির বাংলা দখলের হাতিয়ার মণীষীরা, এটা বলাই যায়।
More News:
3rd March 2021
2nd March 2021
2nd March 2021
2nd March 2021
2nd March 2021
2nd March 2021
2nd March 2021
Leave A Comment