নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বারবার উত্তাল হয়েছে মথুরাপুর। হাতাহাতি থেকে চেয়ার ছোঁড়া বাদ যায়নি কিছুই। এবার ভাইরাল হল এক ভিডিও। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি (BJP) কর্মীর পা ধরছেন জেলা সভাপতি। আর এই ঘটনাতেই উত্তাল এলাকা।
বিতর্কের কেন্দ্রে বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্য। তবে পা ধরার পর থেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিনি। কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, মোদি কাপ উপলক্ষ্যে জেলা সভাপতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আর্থিক সাহায্যের। তবে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি। এই অপরাধেই পা ধরতে হল? অভিযোগ, মোদি কাপের জন্য প্রথম পুরস্কারের টাকা দিয়েছিলেন নিমাই পাল। সেই তাঁর থেকেও নিজে টাকা নিয়েছিলেন জেলা সভাপতি। নিমাই ওই টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে তাঁর পায়ে ধরেন জেলা সভাপতি।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি মথুরাপুরের বকখালিতে আয়োজন করা হয়েছিল সাংগঠনিক বৈঠকের। ওই বৈঠকে প্রথমে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বচসা বাধে স্থানীয় নেতৃত্বর। তা থেকেই বেধেছিল হাতাহাতি। এরপর জুতো এবং চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি। এক নেতা আবার লাঠি উঁচিয়েও ধেয়ে গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছিল, বৈঠকে জেলা নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছে স্থানীয় নেতৃত্ব। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল তীব্র চাঞ্চল্য। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছিল বঙ্গ বিজেপি। তৃণমূলের কটাক্ষ, পদ্মশিবির মানেই আদি-নব্য, উচ্চ-নিচ, প্রবীণ- নবীন দ্বন্দ্ব। সবুজ শিবিরের পক্ষ থেকে কটাক্ষ করে আরও বলা হয়, যে দলে নিজেদের মধ্যেই মারামারি সেই দল রাজ্যে ক্ষমতায় এলে পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে।
এর আগেও এমন হয়েছিল। গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর মথুরাপুরের রামকৃষ্ণপুরের কুলপি জেলা কার্যালয় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। সেই বৈঠকে বচসা বাধে জেলা সভাপতি প্রদ্যোৎ বৈদ্য এবং রাজ্য কমিটির সদস্যদের মধ্যে।ওই দিন রাজ্য কমিটির সদস্যদের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কৃত্তিবাস সর্দার। জেলা সভাপতি ও তাঁকে হাতাহাতি করতেও দেখা গিয়েছিল। বাদ যায়নি কিল-চড়-ঘুষিও। কার্যালয়ের ভেতরে শুরু হয়েছিল ভাঙচুর। চলেছিল টেবিল ও চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি। তারপর তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল কার্যালয়ে। তারপরে ফের ১৩ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় বঙ্গ বিজ্রপি পড়েছে তীব্র অস্বস্তিতে।