এই মুহূর্তে

কোন্দল লুকানোর চেষ্টা! অমিত শাহের বৈঠকের আমন্ত্রণ তালিকায় কাটাকুটি

নিজস্ব প্রতিনিধি: এ কি তবে কোন্দল লোকানোর চেষ্টা? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত অবশ্য তাই। কলকাতায় অমিত শাহের (Amit Shah) বৈঠকে কে থাকবেন আর কে থাকবেন না, সেই তালিকা তৈরি করতে শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। তালিকা জুড়ে চলছে কাটা- জোড়া। অভিযোগ, দ্বন্দ্ব লুকোতে আমন্ত্রণ করা হচ্ছে প্রিয়জনদের। মানে আর কি একই দলে স্বজনপোষণ! অভিযোগ, ঠিক এই কারণেই জন্যই বিক্ষুব্ধরা তাঁদের অভিযোগ, সমস্যা জানাতে পারবেন না অমিত শাহকে। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে কারও কিছু জানানোর থাকলে, তা জানাতে হবে লিখিত ভাবে।

রাজ্যে উপ নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই রাজ্য জুড়ে দেখা গিয়েছে পদ্ম শিবিরে (BJP) ভাঙন। বিদ্রোহ দেখাতে শুরু করেছে একের পর এক নেতা। এর মাঝেই বেশ কিছু ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপ বিপাকে ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকে। যদিও কোনও অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি ডব্লুডব্লুডব্লু এই মুহূর্তে ডট কম। লেগে রয়েছে আদি- নব্য, দিলীপ- সুকান্ত দ্বন্দ্ব। এর মাঝেই আবার অর্জুন দলে বেসুরো হয়ে পাট শিল্প নিয়ে স্তুতি গাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয়বার শপথ গ্রহণের বর্ষপূর্তির দিনেই কলকাতা আসছেন অমিত। এই বৈঠকে নিজেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ঢাকতে চাইছেন ক্ষমতাসীনরা! দলের অন্দরেও উঠেছে সেই অভিযোগ। তবে অমিত থেকে দূরে থাকতে নারাজ বিক্ষুব্ধরাও। চলছে সাইড লাইন এবং তার পাল্টা ‘যোগ্য জবাব’ দেওয়ার প্রস্তুতি। বিদ্রোহীদের দাবি, তাঁরা অমিতকে বলবেনই তাঁদের কথা। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই শাহের কাছে রাজ্যের কোন্দল, ব্যর্থতা, ভাঙন নিয়ে গিয়েছে বিস্তারিত রিপোর্ট।

জানা গিয়েছে, আগামী ৪ মে রাজ্যে আসছেন অমিত। ৫ মে উত্তরবঙ্গে তাঁর সরকারি কর্মসূচী। ওইদিন বিকেলেই তাঁর দলীয় জনসভা। আগামী ৬ এপ্রিল সরকারি কর্মসূচী রয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনায়। ওই দিন বিকেলেই কলকাতা ফিরবেন তিনি। তারপর দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে করবেন সাংগঠনিক বৈঠক। অভিযোগের তির সুকান্তের দিকে। এদিকে রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব লকেট, অনুপম। অনুপমের পাশে দাঁড়িয়েছেন দিলীপ। অগ্নিমিত্রাও উপনির্বাচনে হারের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। সব মিলিয়ে বিজেপিতে অস্বস্তির পর অস্বস্তি। আর শাক দিয়ে ঢাকা যাচ্ছে না মাছ! উল্লেখ্য, রাজ্যের একাধিক জেলায় জেলা সভাপতিদের বিরুদ্ধে সরব নেতা- বিধায়ক থেকে প্রাক্তণ মণ্ডল সভাপতি। মূল অভিযোগ, মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনে স্বজনপোষণ ও ঘুষের। রয়েছে আদি নেতাদের সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগও। এখন দেখার অমিত সফরে কী হয়? কোন পক্ষ হবে সফল, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

ঘাটাল লোকসভা জিততে গেলে মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে হবে: দেব

কৃষ্ণনগরে আবার ইডি এলে সরপুরিয়া খেয়ে যাবে, খোঁচা মহুয়ার

শেখ শাহজাহানের জামিনের আর্জি খারিজ, জেল হেফাজতের নির্দেশ

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

চাই পুরসভা, চাই পূর্ণাঙ্গ থানা, গলা তুলছে আমোদপুর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর