নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন এক তরুণীকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ওই তরুণী গর্ভবর্তী হয়ে পড়ায় প্রকাশ্যে চলে এসেছে এই ঘটনা। আর তার জেরেই ওই যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তরুণীর দাদা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার মঙ্গলকোটে। ওই তরুণী মঙ্গলকোট গ্রামের টালিপাড়ার বাসিন্দা। পরিবারের অন্যান্যরা কর্মসূত্রে দিনের বেশির ভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। ফলে বাড়িতে একাই থাকতে হত ওই তরুণীকে। আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগায় এলাকার এক বিজেপি নেতার ভাই চুনী আনসারি। অভিযোগ, দিনের পর দিন সে ওই তরুণীকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করতো চুনী। কিন্তু দীর্ঘদিন বিষয়টি জানতে পারেননি কেউ। সম্প্রতি ওই তরুণীর শারীরিক পরিবর্তন নজরে পড়ে পরিবার ও প্রতিবেশীদের। এরপর নির্যাতিতাকে চেপে ধরতেই প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা।
জানা গিয়েছে, প্রলোভন দেখিয়ে প্রায়ই ওই তরুণীকে ডেকে নিয়ে যেত চুনী। নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েই তাঁকে ধর্ষণ করত। কিন্তু চুনীর ভয়ে কাউকে কিছু জানাননি ওই তরুণী। বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়ির লোকেরা তাঁকে চেপে ধরলে সে কান্নায় ভেঙে পড়ে ও চুনীর কুকীর্তির কথা জানায়। এরপর রাতেই মঙ্গলকোট থানার দ্বারস্থ হন এই তরুণীর দাদা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই চুনীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে মামলা। একই সঙ্গে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চন্দন সরকার জানিয়েছেন, ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ওই তরুণীকে ফুঁসলিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দিনের পর দিন ধরে ধর্ষণ করেছে চুনি। ওর দাদা বিজেপি করে বলেই এত সাহস পেয়ে গিয়েছে ও। এখন সব কিছু ধামাচাপা দিতে চাইছে।’ যদিও বিজেপির জেলা কমিটির সহ-সভাপতি রানাপ্রতাপ গোস্বামী জানিয়েছেন, ‘এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমরাও অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী অভিযুক্ত যুবক চুনী আনসারি অবশ্য ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকা থেকে চম্পট দিয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে মঙ্গলকোট থানার পুলিস। বৃহস্পতিবার রাতেই নির্যাতিতা তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।