এই মুহূর্তে

কৈলাস- অমিতাভকে সরাতে হবে, বঙ্গ বিজেপির বিক্ষোভ সদর দফতরে

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপির অবস্থা কি হল? জেলায় জেলায় নিজেদের সদর দফতরের সামনেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব। দাবি, সরাতে হবে কৈলাস- অমিতাভকে। এর আগেও যে বিক্ষোভ হয়নি দলীয় অফিসে তা নয়, টিকিট পেয়ে শুরু হয়েছিল ভাঙচুর। আবার কখনো দফতরে ইঁদুরের উৎপাত নিয়ে শুরু হয়েছিল বাঙালি- অবাঙালি বচসা। বাঙালিদের দাবি ইঁদুর তাড়াতে হবে, আবার অবাঙালিদের দাবি, ইঁদুর গনেশের বাহন। ধনসম্পদের দেবতার বাহনকে তাড়ানো যাবে না!  দলে পদ পেতে গেলে বিধায়ক-সাংসদকে দিতে হবে টাকা, এমন অভিযোগও উঠেছে মণ্ডল সভাপতির তরফ থেকে অভিযোগের তির জেলা সভাপতি- বিধায়ক- সাংসদের বিরুদ্ধে। এর আগে তোলা চেয়ে হুমকি দিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন এক বিজেপি নেতা। পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ বিজেপি নেতা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তুলে উপনির্বাচনের আগে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। তারপর উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, রাজ্য জুড়ে বিজেপিতে ভাঙন। ধানতলা নাবালিকার রহস্য মৃত্যুতে পলিটিক্যাল মাইলেজ নেওয়ার কথাও শোনা গিয়েছে ভাইরাল অডিওতে। তারপরেই নব্য- পুরাতন, দিলীপ- সুকান্ত দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। সামসেরগঞ্জের বিডিওকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি দিয়ে গ্রফতার হয়েছেন বিজেপি যুব মোর্চা শহর সহ সভাপতি মিলন ঘোষ। তারপরেই ফের প্রকাশ্যে এল দলেই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। এ যেন হিন্দুত্ববাদী দলের রাহুর দশা কাটছেই না!

বৃহস্পতিবার বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি বলেছেন, দলে পুরানোদের গুরুত্ব দিতে হবে। সেই দাবিতে যেন জোয়ার এসেছে আদি বিজেপির অন্দরে। তা ছড়িয়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। জেলায় জেলায় সদর দফতরের সামনে দেখানো হচ্ছে বিক্ষোভ। সেখানে সামিল বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব। অভিযোগ, দলে জোর করে স্বজনপোষণ করে অযোগ্যদের জায়গা দেওয়া হচ্ছে। যোগ্যদের দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। এঁদের জন্যই দল বারবার ডুবেছে। অযোগ্য নেতৃত্বের জন্যই বেহাল অবস্থায় বঙ্গ বিজেপি। তাঁদের সাফ প্রশ্ন, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অমিতাভ চক্রবর্তীর মতো নেতাদের কেন আনা হচ্ছে? অভিযোগ, দল দিনে দিনে দুর্নীতিতে ভরে যাচ্ছে। অভিযোগ, ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য কেন্দ্র থেকে যে সহায়তা পাঠানো হয়েছিল তা ঠিকঠাক বন্টন করা হয়নি। আরও অভিযোগ, রাজ্য সভাপতি কাজ করতে পারছেন না। রাজ্য সম্পাদক অমিতাভের জন্য দল ধ্বংসের পথে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, এই সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত জেলায় জেলায় চলবে বিক্ষোভ।  রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্য বলছে, এটা এমন কিছু নয়। ভাই-ভাইয়ে ঝগড়া। যারা নিজেদের পুরানো বলছেন তাঁদের মধ্যে না কি আছে নতুনও! সমাধান করা হবে সমস্যার।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘টলিউডে ওঁর থেকে আমি অনেক এগিয়ে’, হিরণের কেরিয়ার নিয়ে খোঁচা দেবের

প্রথম দুই দফার ভোটে সব বুথে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

ঘাটাল লোকসভা জিততে গেলে মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে হবে: দেব

কৃষ্ণনগরে আবার ইডি এলে সরপুরিয়া খেয়ে যাবে, খোঁচা মহুয়ার

শেখ শাহজাহানের জামিনের আর্জি খারিজ, জেল হেফাজতের নির্দেশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর