নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের নির্বাচনে নীলবাড়ি দখলের জন্য মুখিয়ে ছিল বিজেপি। রাজ্যের বিজেপি নেতাদের আকাশ কুসুম ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে মোটা মোটা অঙ্কের অর্থ মুড়ি-মুড়কির মত খরচ করেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। দেশের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বিত্তশালী দল বিজেপি। কিন্তু আমজনতার পকেট কেটে শাসক হওয়ার জেদে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করেছিল বিজেপি। জানা গিয়েছে, বিগত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মোট ২৫২ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। যার মধ্যে সিংহভাগ অর্থ খরচ করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। স্বপ্ন ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গদিচ্যুত করে ক্ষমতা দখল। যা বাংলার মানুষের বিচারে সম্ভব হয় নি। প্রত্যেক ভোটের পরেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে খরচ করা অর্থের হিসেব দিতে হয় রাজনৈতিক দলগুলিকে। সেই মর্মেই বিজেপি জানিয়েছে গত পাঁচ রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে মোট ২৫২ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। যার ৬০ শতাংশ অর্থ খরচ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জন্য অর্থাৎ হিসেব করলে দাঁড়ায় ১৫১ কোটি টাকা।
দেশ লড়ছে করোনার সঙ্গে কিন্তু বিজেপির শুধুমাত্র ভোটে জেতার জন্য হোশপাইপ দিয়ে অর্থ খরচ করেই যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, এই পরিমান অর্থ বাজেটে কিংবা করোনায় বিপর্যস্ত মানুষগুলিকে দিলে লাভ হত। ঘোড়া কেনাবেচা কিংবা টলি তারকাদের কিনে বিজেপিতে আনতেই এই পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে তা বলাই যায়। একুশের নির্বাচনের দামামা বাজতেই কলকাতায় বড় বড় হোটেল কিংবা লজে মাসের পর মাস এসে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। পোস্টার-ব্যানার, পতাকা, প্রচার গাড়ি কিংবা রথ নামিয়ে বিপুল অঙ্কের অর্থ খরচ করে ঝুলিতে গিয়েছে ৭৭ আসন ( বর্তমানে ৭০)। জুটেছে বিরোধী দলের তকমা। বাংলা বাদ দিলে বাকি চার রাজ্যে কিছুটা ভালো ফল করেছে বিজেপি যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অসম ও পুদুচেরী। অসমে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ভোটে খরচ করা হয়েছে ৪৩ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা। ৭৫টি আসন দখল করে অসমে বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে শাহ-মোদির বিজেপি।
অর্থ খরচ করা হয়েছিল কেরলেও, কিন্তু ভাগ্যে জোটেনি কিছুই। কমিশনের দেওয়া হিসেব বলছে বিজেপি কেরল ও তামিলনাড়ুর ভোটে মোট ৫১ কোটির বেশি অর্থ খরচ করেছিল। কিন্তু দু’রাজ্য থেকেই কিছুই জোটেনি পদ্ম শিবিরের। পুদুচেরীতে ৪ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা নির্বাচনে খরচ করে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ ক্ষমতায় আসতে জনগনের তাকার নয়ছয় করতেও বাধ সাধে না বিজেপির এটা পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন থেকেই পরিস্কার।