নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশজুড়ে বেশ মহাসমারোহে বিজেপির(BJP) ৪৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করছে বিজেপি। কিন্তু বাংলায়(Bengal) নিত্যদিন তাঁরা যে সব নজীর গড়ছে তা কার্যত শুধু এ রাজ্যেই নয়, গোটা দেশেই পদ্মপার্টির মাথা হেঁট করে দিচ্ছে। একদিকে যেমন সামনে এসেছে বাংলার বুকে ২১ হাজারেরও বেশি বুথে বিজেপির ১জনও কর্মী নেই, তেমনি সামনে এসেছে দলেরই প্রতিষ্ঠা দিবসে দলেরই গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে দলীয়া কার্যালয়ে তালা, ভাঙচুর ও মারামারির ঘটনা। এই সব ঘটনা ছাড়িয়ে এখন আরও বড় অস্বস্তি হয়ে দাঁড়াচ্ছে কোচবিহার(Coachebehar) জেলার দিনহাটা-১ ব্লকের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের ঘটনা। কেননা চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের(Nishith Pramanik) হাত থেকে পতাকা নিয়ে যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল, তাঁরাই বুধবার বিকালে ফের তৃণমূলে(TMC) যোগ দিয়েছেন বিজেপিকে কার্যত লাথি মেরে। আর এই ঘটনাই এখন মুখ পোড়াচ্ছে বিজেপির।
আরও পড়ুন সুপ্রিমদ্বারে মহাধাক্কা শুভেন্দুর, খারিজ পঞ্চায়েত মামলা
জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের সোমবার দিনহাটা-১ ব্লকের ভেটাগুড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শোদুয়েক তৃণমূল কর্মী যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। সেদিন এই দলত্যাগীদের হাতে পতাকা তুলে দেন নিশীথ। কিন্তু সেই ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেন, দিনহাটা-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুধাংশু রায়, তৃণমূলের ভেটাগুড়ি-২ অঞ্চল সভাপতি সুনীল রায় সরকার, অঞ্চল চেয়ারম্যান রহমত খন্দকার ঘরওয়াপসিদের হাতে দলের ঝান্ডা তুলে দেন। যারা সোমবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা এবং আরও একশোজন বিজেপি কর্মী একসঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন। কার্যত দলে যোগ দেওয়ার পরে পরেই কেন দলত্যাগ, কেন তাঁদের দলে ধরে রাখা গেল না, এইসব প্রশ্নের জেরে এখন চরম অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে পদ্মশিবির। দল বদল নিয়ে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘আমরা তো কাউকে জোর করে দলে আনিনি। ওঁরা নিজেদের ইচ্ছাতেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কেন এসেছিলেন আর কেনই বা ফিরে গিয়েছেন তা তাঁরাই বলতে পারবেন।’
আরও পড়ুন দেশের সেরা বাংলার বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুধাংশু রায় বলেন, ‘গ্রামে বিজেপির কোনও লোক নেই। ভয় দেখিয়ে তৃণমূলের লোকজনকে জোর করে গত সোমবার বিজেপির পতাকা হাতে তুলে দিয়েছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। এদিন তাঁরা আবার আমাদের দলে যোগ দিলেন। সব মিলিয়ে তিন শতাধিক কর্মী সমর্থক দলে ফিরেছেন। আরও অনেকে আমাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। আগামীতে তাঁদেরও দলে নেওয়া হবে। পঞ্চায়েত ভোটে গ্রামে বিজেপি তাদের ঝান্ডা লাগানোর লোক খুঁজে পাবে না।’