বকেয়া না মিটলে দেব না বাস! কমিশনকে মালিকদের চ্যালেঞ্জ
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: শুধু নয় বাস ধর্মঘট, এবার নির্বাচন কমিশনকেও কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বসে রইলেন বাস মালিকেরা। আগেকার ভোটে বাস নেওয়ার জন্য প্রাপ্য বকেয়া টাকা না মেটালে এবারে ভোটের কাজে বাস দেওয়া হবে না। এই মর্মে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিল বাস-মিনিবাস মালিকদের সংগঠন। সঙ্গে দাবি বাড়াতে হবে বাসের চালক ও খালাসীর পারিশ্রমিকও। আগামী ২৮ তারিখ থেকেই রাজ্যে টানা ৭২ ঘন্টা বা ৩ দিনের বাস ধর্মঘতের ডাক দিয়েছেন রাজ্যের ৫টি বাস মালিকদের সংগঠন। তা নিয়ে রাজ্য সরকার যেমন চিন্তিত তেমনি ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন আমজনতাও। এরই পাশাপাশি এই ধর্মঘট ঠেকাতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবারই সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। ঠিক তার আগে এদিন নির্বাচন কমিশনকে যে ভাবে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বাস মালিকদের সংগঠন চিঠি দিয়েছে তা দেখে মনে করা হচ্ছে বড় কোনও রাজনৈতিক শিবিরের মদতেই বাস মালিকেরা এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠতে পেরেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এখন বাস মালিকদের এই সব অবস্থানের পিছেন গেরুয়া শিবিরের ভূমিকা আতশ কাঁচের নীচে চলে এসেছে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, গত লোকসভা নির্বাচনের বকেয়া টাকা মেটাতে হবে। তারপরই তাঁরা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বাস, মিনিবাস দেবেন। যদি বল প্রয়োগ করা হয়, সে ক্ষেত্রে বড়সড় আন্দোলনেরও হুমকি দিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা। সংগঠনের দাবি, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের বাস ব্যবহার করা হয়েছিল। অথচ তার জন্য কোনও টাকা মেটানো হয়নি। এখনও ৫ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। তাই এখন তাদের হুঁশিয়ারি, ওই ৫ কোটি টাকা না মেটালে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা কোনও বাস, মিনিবাস নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দেবেন না। বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে এই মর্মেই চিঠি দিয়ে কার্যত কড়া হুমকি দেওয়া হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে চিঠি দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাস ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু বলেন, 'ভোটের সময় নির্বাচন কমিশান যে বাস ভাড়া নিয়েছিল তার জন্য এখনও সারা রাজ্যে ৫ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। কোনও জেলায় ৫০ শতাংশ টাকা পেয়েছে, কোনও জেলায় ৭০ শতাংশ টাকা পেয়েছে। আবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাস মালিকেরা একটি টাকাও পায়নি। এই বকেয়া না মেটালে একুশের ভোটে আমরা কোনও বাস দেব না।' নির্বাচনের সময় প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট কর্মীর যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম এই বাস। ভোট কেন্দ্রে কর্মীদের যাওয়া-আসার জন্য তা বরাদ্দ থাকে। সেই বাসই যদি না মেলে তাহলে বিপাকে পড়তে হবে ভোট কর্মীদের। বিঘ্নিত হবে ভোট পদ্ধতি। বাস ইউনিয়েনের পক্ষ থেকে কার্যত হুঁশিয়ারি, নির্বাচন কমিশন আইনের জোরে বাস নিয়ে যেতেই পারে, কিন্তু কোনও চালক বা খালাসি কাজে যোগ দেবেন না। একইসঙ্গে ইউনিয়নের দাবি, বাড়াতে হবে বাসের চালক ও খালাসীর পারিশ্রমিকও। আগে খালাসি ও চালককে প্রতিদিন ১৭০ টাকা দেওয়া হতো। এবার তা ২৫০ টাকা করার দাবি তোলা হয়েছে। গাড়িভাড়া বাবদ প্রতিদিন ১৯১০ টাকার বদলে এবার ২৫০০ টাকার দাবিও করেছে তাঁরা। এই দাবি মানা না হলে কেউই কাজে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, গত লোকসভা নির্বাচনের বকেয়া টাকা মেটাতে হবে। তারপরই তাঁরা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বাস, মিনিবাস দেবেন। যদি বল প্রয়োগ করা হয়, সে ক্ষেত্রে বড়সড় আন্দোলনেরও হুমকি দিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা। সংগঠনের দাবি, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের বাস ব্যবহার করা হয়েছিল। অথচ তার জন্য কোনও টাকা মেটানো হয়নি। এখনও ৫ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। তাই এখন তাদের হুঁশিয়ারি, ওই ৫ কোটি টাকা না মেটালে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা কোনও বাস, মিনিবাস নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দেবেন না। বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে এই মর্মেই চিঠি দিয়ে কার্যত কড়া হুমকি দেওয়া হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে চিঠি দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাস ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু বলেন, 'ভোটের সময় নির্বাচন কমিশান যে বাস ভাড়া নিয়েছিল তার জন্য এখনও সারা রাজ্যে ৫ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। কোনও জেলায় ৫০ শতাংশ টাকা পেয়েছে, কোনও জেলায় ৭০ শতাংশ টাকা পেয়েছে। আবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাস মালিকেরা একটি টাকাও পায়নি। এই বকেয়া না মেটালে একুশের ভোটে আমরা কোনও বাস দেব না।' নির্বাচনের সময় প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট কর্মীর যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম এই বাস। ভোট কেন্দ্রে কর্মীদের যাওয়া-আসার জন্য তা বরাদ্দ থাকে। সেই বাসই যদি না মেলে তাহলে বিপাকে পড়তে হবে ভোট কর্মীদের। বিঘ্নিত হবে ভোট পদ্ধতি। বাস ইউনিয়েনের পক্ষ থেকে কার্যত হুঁশিয়ারি, নির্বাচন কমিশন আইনের জোরে বাস নিয়ে যেতেই পারে, কিন্তু কোনও চালক বা খালাসি কাজে যোগ দেবেন না। একইসঙ্গে ইউনিয়নের দাবি, বাড়াতে হবে বাসের চালক ও খালাসীর পারিশ্রমিকও। আগে খালাসি ও চালককে প্রতিদিন ১৭০ টাকা দেওয়া হতো। এবার তা ২৫০ টাকা করার দাবি তোলা হয়েছে। গাড়িভাড়া বাবদ প্রতিদিন ১৯১০ টাকার বদলে এবার ২৫০০ টাকার দাবিও করেছে তাঁরা। এই দাবি মানা না হলে কেউই কাজে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা।
More News:
7th March 2021
6th March 2021
6th March 2021
6th March 2021
6th March 2021
6th March 2021
6th March 2021
6th March 2021
Leave A Comment