কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের নজরে ব্যবসায়ী আর পুলিশ
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: কয়লা পাচার কাণ্ডে এক মুহুর্তও কিন্তু বসে থাকছে না সিবিআই। একদিকে যেমন চলেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ, তেমনি অন্যদিকে চলছে পাচারকাণ্ডে আরও কে কে জড়িয়ে রয়েছে সেই সব অনুসন্ধানের কাজও। আর সেই সূত্রেই এখন সিবিআইয়ের নজরে পড়ে গিয়েছেন রাজ্যের ১২জন পুলিশ আধিকারিক ও ২৬জন ব্যবসায়ী। সিবিআইয়ের অনুমান এইসব পুলিশ ও ব্যবসায়ীরা এই কাণ্ডে জড়িত আর তাঁদের হাত ধরেই কয়লা পাচারের টাকা অনুপ মাঝি বা লালার কাছ থেকে রাজ্যের কোনও এক উচ্চপ্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে গিয়েছে। এবার এই সব ব্যবসায়ী ও পুলিশ আধিকারিকদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী। সঙ্গে চলছে হুটহাট তল্লাশি অভিযানও।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে কয়লা পাচারের তদন্তে নেমে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাবাহিনীর হাতে উঠে এসেছে কলকাতার ২৬ জন ব্যবসায়ীর নাম। ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে ১০ জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। যা তদন্তে সাহায্য করবে বলেই জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কাদের মারফত অনুপ মাঝি ওরফে লালা ও বিনয় মিশ্রের কাছে টাকা পৌঁছত, দীর্ঘদিন ধরে এবিষয়ে খোঁজখবর চালাচ্ছিল সিবিআই। সেই সূত্রেই তালিকায় উঠে এসেছিল কলকাতার ২৬ জন ব্যবসায়ীর নাম। ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর আধিকারিকেরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডির আধিকারিকেরাও। তল্লাশি চালানো হয় এই সব ব্যবসায়ীদের অফিস-দোকান ও বাড়িতও। আর সেই সব জায়গা থেকে মিলেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি। এই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অ্যাকাউন্টে লালা ও বিনয় মিশ্রর টাকা লেনদেনের প্রমাণও মিলেছে। জানা গিয়েছে, এই ব্যবসায়ীদের মারফত টাকা পৌঁছত বিনয় মিশ্র ও অনুপ মাঝির কাছে। তারপর তাঁরা সেই টাকা পাঠাতেন প্রভাবশালীদের। সিবিআই আধিকারিকদের অনুমান, সন্দেহভাজনদের তালিকার বাকি ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তদন্তে প্রয়োজনীয় আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আসবে।
একই সঙ্গে কয়লা পাচার কাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের নজরে পড়ে গিয়েছেন প্রায় এক ডজন পুলিশ আধিকারিক। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আবার আইপিএস অফিসার। গত সপ্তাহেই রণধীর বার্নওয়াল নামে বাঁশদ্রোণীর এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, শুধু ব্যবসায়ীদের টাকাই নয়, বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী পুলিশ অফিসারের টাকাও থাকত ব্যবসায়ী রণধীর বার্নওয়ালের কাছে। লালা ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও তাঁর অফিসে তল্লাশি চালিয়ে এমনই তথ্য পেয়েছে সিবিআই। রণধীর পুলিশ আধিকারিকদের সেই টাকাই নিজের বিভিন্ন ব্যবসার মাধ্যমে সাদা করতেন। সেই সঙ্গে সেই টাকার একটা অংশ আবার চলে যেত কলকাতার কোনও এক প্রভাবশালীর কাছে। যে সব পুলিশ অফিসারদের ওপরে এখন এই নিয়ে সিবিআইয়ের নজর পড়েছে তাঁদের তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করে নিয়েছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই অফিসারদের নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে কয়লা পাচারের তদন্তে নেমে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাবাহিনীর হাতে উঠে এসেছে কলকাতার ২৬ জন ব্যবসায়ীর নাম। ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে ১০ জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। যা তদন্তে সাহায্য করবে বলেই জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কাদের মারফত অনুপ মাঝি ওরফে লালা ও বিনয় মিশ্রের কাছে টাকা পৌঁছত, দীর্ঘদিন ধরে এবিষয়ে খোঁজখবর চালাচ্ছিল সিবিআই। সেই সূত্রেই তালিকায় উঠে এসেছিল কলকাতার ২৬ জন ব্যবসায়ীর নাম। ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর আধিকারিকেরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডির আধিকারিকেরাও। তল্লাশি চালানো হয় এই সব ব্যবসায়ীদের অফিস-দোকান ও বাড়িতও। আর সেই সব জায়গা থেকে মিলেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি। এই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অ্যাকাউন্টে লালা ও বিনয় মিশ্রর টাকা লেনদেনের প্রমাণও মিলেছে। জানা গিয়েছে, এই ব্যবসায়ীদের মারফত টাকা পৌঁছত বিনয় মিশ্র ও অনুপ মাঝির কাছে। তারপর তাঁরা সেই টাকা পাঠাতেন প্রভাবশালীদের। সিবিআই আধিকারিকদের অনুমান, সন্দেহভাজনদের তালিকার বাকি ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তদন্তে প্রয়োজনীয় আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আসবে।
একই সঙ্গে কয়লা পাচার কাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের নজরে পড়ে গিয়েছেন প্রায় এক ডজন পুলিশ আধিকারিক। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আবার আইপিএস অফিসার। গত সপ্তাহেই রণধীর বার্নওয়াল নামে বাঁশদ্রোণীর এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, শুধু ব্যবসায়ীদের টাকাই নয়, বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী পুলিশ অফিসারের টাকাও থাকত ব্যবসায়ী রণধীর বার্নওয়ালের কাছে। লালা ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও তাঁর অফিসে তল্লাশি চালিয়ে এমনই তথ্য পেয়েছে সিবিআই। রণধীর পুলিশ আধিকারিকদের সেই টাকাই নিজের বিভিন্ন ব্যবসার মাধ্যমে সাদা করতেন। সেই সঙ্গে সেই টাকার একটা অংশ আবার চলে যেত কলকাতার কোনও এক প্রভাবশালীর কাছে। যে সব পুলিশ অফিসারদের ওপরে এখন এই নিয়ে সিবিআইয়ের নজর পড়েছে তাঁদের তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করে নিয়েছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই অফিসারদের নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই।
More News:
20th April 2021
20th April 2021
20th April 2021
20th April 2021
20th April 2021
Leave A Comment