নিজস্ব প্রতিনিধি: গান্ধি-জয়ন্তীর আগেই সরকারি অফিসে সাফাই অভিযানের ফরমান কেন্দ্রের। প্রত্যেকটি দফতর ঝাঁ চকচকে রাখার পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ফাইল সরানোর নির্দেশ দিলেন ক্যাবিনেট সচিব রাজিব গৌবা। ২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে গোটা মাস ধরেই সমস্ত সরকারি অফিসে চলবে এই সাফাই অভিযান। যদিও বাংলা এই কাজে অনেকটাই এগিয়ে বলে দাবি করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিবের পরামর্শ, সরকারি অফিসে জমে থাকা সমস্ত অপ্রয়োজনীয় ফাইল, আবর্জনা বিদায় করে দিতে হবে। এর জন্য ২ তারিখ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এই কাজ বাংলার সরকারি দফতরগুলিতে অনেক আগে থেকেই হচ্ছে বলে দাবি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, ‘আগে সরকারি অফিসগুলি প্রচণ্ড অপরিষ্কার হয়ে থাকত। ইতিউতি জমে থাকত পুরনো কাগজ, সিগারেটের টুকরো, একগাদা ফাইল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পেপারলেস কাজে উদ্যোগী হয়েছে। তার সাফল্যও মিলেছে বর্তমানে।’
কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব আরও জানিয়েছেন, সরকারের কাছে জমা পড়া নানা অভাব-অভিযোগেরও দ্রুত নিরসন করতে হবে। এক্ষেত্রেও ২ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এখানেও এই রাজ্য এগিয়ে বলে জানালেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, রাজ্যের পৃথক গ্রিভান্স সেল রয়েছে। তার মাধ্যমে মানুষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়। এছাড়াও ভোটের মুখে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতেও ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এবার দুয়ারে সরকারের সুবাদে সাধারণ মানুষের অভাব বা অভিযোগ কোনওটাই আর সেভাবে উঠে আসছে না। তাঁর কথায়, ‘আসলে বাংলার মডেলকে কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে বিজেপি সরকার। যে কাজ আমরা বারোমাস ধরে করি, সেটা ওরা একমাসের জন্য করার উদ্যোগ নিয়েছে। এটা খুবই হাস্যকর।’