নিজস্ব প্রতিনিধি,চন্দ্রকোনা: মাত্র তিন বছর চার মাস বয়সে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এর নাম উঠলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ব্লকের জয়ন্তীপুরের পৃথ্বীরাজ দত্তের(Prithiraj Dutta)। সাড়ে তিন মিনিট সময়ের মধ্যে ১০০ টি জিকের উত্তর দিয়ে তাক লাগালেন পৃথ্বীরাজ। ছোট এই পৃথ্বীরাজের সাফল্যে খুশি তার মা ও পরিবার। পড়তে বসার সময় বারে বারে কোন প্রশ্নের উত্তর জিজ্ঞাসা করলেই অনর্গল বলতে পারতো পৃথ্বীরাজ। মাত্র দেড় বছর বয়স থেকেই সে সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন উত্তরে সাবলীল হয়ে ওঠে। মায়ের প্রচেষ্টায় স্কুলের গণ্ডি প্রবেশ করার আগেই গলায় ঝুল্লো ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এর মেডেল(Medel)।
সঙ্গে মিলেছে সার্টিফিকেট(Certificate)। এদিকে, মানিকচকে টাকা দিলে তবেই মিলবে এডমিট কার্ড। দিন কয়েক আগে বিদ্যালয়ে ছাত্ররা এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে পরিবর্তে ফোনে মিলছে হুমকি। এমনই অভিযোগ এনে বিক্ষোভে রাস্তায় ছাত্ররা। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক শিক্ষানিকেতন হাই স্কুলে। মানিকচক থানার নামজাদা বিদ্যালয়ের মধ্যে একটি বিদ্যালয়। ছাত্রদের অভিযোগ বিদ্যালয়ে ২৪০ টাকার দিলেই তবেই মিলবে উচ্চ মাধ্যমিকের এডমিট কার্ড(Admit Card)। তবে প্রশ্ন কিসের এই টাকা? বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের অভিযোগ টাকা ছাড়া কোন কথাই বলে না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজার হাজার টাকা বিনিময়ে বকলমে চলছে ভর্তি। বিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কুড়ি টাকার খাতা রীতিমত ১২০ টাকায় বিক্রি করছে।
কিছু জানতে চাইলে কোন কথাই বলতে চান না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের টিআইসি(TIC) সুব্রত প্রামানিক জানান ,ছাত্ররা যা অভিযোগ আনছে সবই ভিত্তিহীন। বিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় যে অর্থ নেওয়া হয় সেটি দুটি কিস্তিতে আমাদের বিদ্যালয় নিয়ে থাকে। ছাত্রদের দ্বিতীয় কিস্তি বকেয়া ২৪০ টাকায় নেওয়া হচ্ছে। তবে এ বছর বিদ্যালয়ে থেকে ১৬৬ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রয়েছে তারা ইতিমধ্যে সকলেই অ্যাডমিট কার্ড পেয়ে গেছে। যেসব ছাত্ররা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করছে তাদের সাথে আমরা খুব শীঘ্রই বসে বিষয়টি আলোচনা করে মিটিয়ে নেব। অভিভাবকদের অভিযোগের কোন অর্থ নেই। বিদালয় ক্যাম্পাসে কোনোভাবেই কোন টাকা পয়সা নিয়ে ভর্তি হয় না। শুধুমাত্র কিছু মানুষ বিদ্যালয়কে কলঙ্কিত করার জন্য হয়তো এই বদনাম ছড়াচ্ছে।