সিআইডির নজরে শুভেন্দুর সমবায় ব্যাঙ্ক! দূরত্ব বাড়াচ্ছে বিজেপি, গড়ে হানা মমতার
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে বাংলার রাজনীতির জল বেশ ভালই গড়াতে শুরু করেছে। সব থেকে বড় কথা যতটা তেঁড়েফুঁড়ে শুভেন্দু তৃণমূলের বিরুদ্ধে নামবেন বলে মনে করা হয়েছিল বাস্তবে কিন্তু তা ঘটছে না। বরঞ্চ জননেতা এখন যেন অনেকটাই থমকে দাঁড়িয়েছেন। বিজেপিতে যোগদান ঘিরে যে জল্পনা ছড়িয়েছিল তাও ধাক্কা খেয়েছে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে। একই সঙ্গে সামনে এসেছে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সিআইডির তদন্ত ও পুরাতন কিছু মামলা ফের খোলার বিষয়টি। আবার এই ঘাতপ্রত্যাঘাতের মধ্যেই একদিকে যেমন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের তরফে আলোচনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হচ্ছে তেমনি এবার শুভেন্দুর খাস তালুকে হানা দিতে পা বাড়াচ্ছেন খোদ তৃণমূলনেত্রী। এই কিছুর লাভ লোকসানের হিসাব খেরোর খাতায় জমা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু চূড়ান্ত হিসাব কিন্তু রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলেও দেখা যাবে।
প্রথমেই আসা যাক সিআইডি মামলার প্রসঙ্গে। শনি দুপুরেই জানা গিয়েছিল মাওবাদীদের আত্মসমর্পণের ঘটনায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। কারন প্রাক্তন কিছু মাওবাদী অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণের ঘটনায় তাঁদের কাছে থাকা টাকাপয়সাও তাঁরা তুলে দিয়েছিলেন প্রশাসনের হাতে। সেই টাকার মোট পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি টাকা। সেই টাকার কোনও হদিশ না মেলায় সিআইডি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার নাম জড়িয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। কারণ সেই সময় তিনিই মাওবাদীদের আত্মসমর্পণের বিষয়টু দেখতেন। এর পাশাপাশি বিশ্ববাঙ্কের ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহযোগীতায় রাজ্যের বিভিন্ন জেটিঘাট সংস্কারের টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়েও তদন্তে নেমেছে সিআইডি। যে সময়ে ওই অনিয়ম হয়েছে তখন সেচ ও পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু। এই দুই ঘটনার পাশাপাশি সিআইডির নজর এবার পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বেশ কিছু কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের দিকে। অভিযোগ সেখানে হিসাবের গরমিল ধরা পড়েছে। এই বিষয়ে জেলার বেশ কিছু কো-অপারেটিভের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে চলেছে সিআইডি। ঘটনাচক্রে ওই সব কো-অপারেটিভের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী যেমন জড়িত তেমনি নানা সমবায় সমিতিকে সামনে রেখেই শুভেন্দি এখন নানা কর্মসূচি নিয়ে চলেছেন। এবার এসবই চলে আসছে সিআইডির নজরে। এর থেকে চাঞ্চল্যকর বিষয় এটাই যে, বামজমানায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলা নতুন করে খুলতে চলেছে রাজ্য সরকার। সব মিলিয়ে নানা মামলায় এবার নাম জড়াতে চলেছে শুভেন্দু অধিকারীর। সেক্ষেত্রে গ্রেফতারির ঘটনাও ঘটতে পারে।
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাচ্ছেন এই জল্পনা ছড়িয়ে পড়ার পরেই গেরুয়া শিবিরে কার্যত ঢেউ উঠেছিল তাঁকে স্বাগত জানাবার। বিশেষ করে শুক্রবার শুভেন্দু রাজ্যের মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করার পরে তা স্বাগত জানিয়েছিল বিজেপির একাধিক নেতা। তার মধ্যে মুকুল রায় যেমন ছিলেন, তেমনি ছিলেন দিলীপ ঘোষও। ছিলেন সৌমিত্র খাঁ থেকে লকেট চ্যাটার্জিও। মুখ খুলেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে অমিত মালব্যও। কিন্তু শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সিআইডির পদক্ষেপ ও একাধিক মামলার বিষয়টি সামনে আসতেই এই জননেতার থেকে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অনেকেই ভেবেছিলেন শনিবার হয়তো দিল্লির পথে পা বাড়াবেন শুভেন্দু। কিন্তু তা হয়নি। শেষে শনি বিকালে দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিলেন, ‘আমার যত দূর জানা আছে এখনও বিজেপির নাম উচ্চারণ করেননি উনি। এখনও টিএমসি ছাড়েননি। মন্ত্রিসভায় অদলবদল হয়, ইচ্ছা-অনিচ্ছা, ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে। যতক্ষণ না তৃণমূল ছাড়ছেন, ততক্ষণ বিজেপির ইন্টারেস্ট নেই। আগে উনি টিএমসি ছাড়ুন। বিজেপির ঝান্ডার তলায় কাজ করতে চাইলে তাঁর মতো বড় নেতাকে স্বাগত জানাব।’
সব শেষে চলে আসি তৃণমূল ও শুভেন্দুর প্রসঙ্গে। রাজ্যের শাসক দল শুক্রবার রাত থেকেই নেমে পড়েছে নরমেগরমে শুভেন্দুকে দলে ধরে রাখতে। তার জন্য যেমন সিআইডি মাঠে নেমে পড়েছে তেমনি জারি রাখা হচ্ছে জননেতার সঙ্গে আলোচনাও। শনিবারও এই বিষয়ে সৌগত রায় জানিয়েছেন, ‘দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়েননি শুভেন্দু। যতক্ষণ না দল ছাড়ছেন ততক্ষণ শুভেন্দু দলের সদস্য। শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। আমরা দুঃখিত। কিন্তু উনি বিধায়ক বা দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে এখনও পদত্যাগ করেননি। যতক্ষণ পার্টিতে আছেন, ততক্ষণ ওঁর সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে। বিজেপির মুখ নেই। প্রচার বোঝেন। আগে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের টিম তৈরি হত, এ দল থেকে ও দল থেকে টেনে। তৃণমূলে কেউ বিক্ষোভ দেখালেই ওরা স্বাগত জানায়। একটা পার্টির লজ্জা থাকা উচিত।’ এই অবস্থায় আগামিকাল হলদিয়ায় যেমন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বোসের নেতৃত্বে তৃণমূল যুব কংগ্রেস এক মহামিছিলেন আয়োজন করতে চলেছে তেমনি আগামী ৭ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে সভা করতে আসছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দির খাস তালুক হিসাবে হলদিয়ার যতটা পরিচিতি ঠিক ততটাই পরিচিতি মেদিনীপুর শহরেরও। রবি বিকালে হলদিয়া শহরের কদমতলা থেকে সিটি সেন্টার পর্যন্ত ওই মহামিছিল হবে। পরে হবে জনসভাও। কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে এই মিছিল ও সভার ডাক দেওয়া হলেও মূল লক্ষ্য শুভেন্দুকে ছাড়া দল কতখানি চলতে পারবে তা মেপে নেওয়া। আর তৃণমূলনেত্রী মাঠে নামছেন মানেই দলের সব কিছু ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়া। কার্যত শুভেন্দু গড়ে ধ্বস নামাতেই এবার মাঠে নামছেন মমতা।
প্রথমেই আসা যাক সিআইডি মামলার প্রসঙ্গে। শনি দুপুরেই জানা গিয়েছিল মাওবাদীদের আত্মসমর্পণের ঘটনায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। কারন প্রাক্তন কিছু মাওবাদী অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণের ঘটনায় তাঁদের কাছে থাকা টাকাপয়সাও তাঁরা তুলে দিয়েছিলেন প্রশাসনের হাতে। সেই টাকার মোট পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি টাকা। সেই টাকার কোনও হদিশ না মেলায় সিআইডি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার নাম জড়িয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। কারণ সেই সময় তিনিই মাওবাদীদের আত্মসমর্পণের বিষয়টু দেখতেন। এর পাশাপাশি বিশ্ববাঙ্কের ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহযোগীতায় রাজ্যের বিভিন্ন জেটিঘাট সংস্কারের টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়েও তদন্তে নেমেছে সিআইডি। যে সময়ে ওই অনিয়ম হয়েছে তখন সেচ ও পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু। এই দুই ঘটনার পাশাপাশি সিআইডির নজর এবার পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বেশ কিছু কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের দিকে। অভিযোগ সেখানে হিসাবের গরমিল ধরা পড়েছে। এই বিষয়ে জেলার বেশ কিছু কো-অপারেটিভের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে চলেছে সিআইডি। ঘটনাচক্রে ওই সব কো-অপারেটিভের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী যেমন জড়িত তেমনি নানা সমবায় সমিতিকে সামনে রেখেই শুভেন্দি এখন নানা কর্মসূচি নিয়ে চলেছেন। এবার এসবই চলে আসছে সিআইডির নজরে। এর থেকে চাঞ্চল্যকর বিষয় এটাই যে, বামজমানায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলা নতুন করে খুলতে চলেছে রাজ্য সরকার। সব মিলিয়ে নানা মামলায় এবার নাম জড়াতে চলেছে শুভেন্দু অধিকারীর। সেক্ষেত্রে গ্রেফতারির ঘটনাও ঘটতে পারে।
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাচ্ছেন এই জল্পনা ছড়িয়ে পড়ার পরেই গেরুয়া শিবিরে কার্যত ঢেউ উঠেছিল তাঁকে স্বাগত জানাবার। বিশেষ করে শুক্রবার শুভেন্দু রাজ্যের মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করার পরে তা স্বাগত জানিয়েছিল বিজেপির একাধিক নেতা। তার মধ্যে মুকুল রায় যেমন ছিলেন, তেমনি ছিলেন দিলীপ ঘোষও। ছিলেন সৌমিত্র খাঁ থেকে লকেট চ্যাটার্জিও। মুখ খুলেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে অমিত মালব্যও। কিন্তু শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সিআইডির পদক্ষেপ ও একাধিক মামলার বিষয়টি সামনে আসতেই এই জননেতার থেকে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অনেকেই ভেবেছিলেন শনিবার হয়তো দিল্লির পথে পা বাড়াবেন শুভেন্দু। কিন্তু তা হয়নি। শেষে শনি বিকালে দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিলেন, ‘আমার যত দূর জানা আছে এখনও বিজেপির নাম উচ্চারণ করেননি উনি। এখনও টিএমসি ছাড়েননি। মন্ত্রিসভায় অদলবদল হয়, ইচ্ছা-অনিচ্ছা, ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে। যতক্ষণ না তৃণমূল ছাড়ছেন, ততক্ষণ বিজেপির ইন্টারেস্ট নেই। আগে উনি টিএমসি ছাড়ুন। বিজেপির ঝান্ডার তলায় কাজ করতে চাইলে তাঁর মতো বড় নেতাকে স্বাগত জানাব।’
সব শেষে চলে আসি তৃণমূল ও শুভেন্দুর প্রসঙ্গে। রাজ্যের শাসক দল শুক্রবার রাত থেকেই নেমে পড়েছে নরমেগরমে শুভেন্দুকে দলে ধরে রাখতে। তার জন্য যেমন সিআইডি মাঠে নেমে পড়েছে তেমনি জারি রাখা হচ্ছে জননেতার সঙ্গে আলোচনাও। শনিবারও এই বিষয়ে সৌগত রায় জানিয়েছেন, ‘দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়েননি শুভেন্দু। যতক্ষণ না দল ছাড়ছেন ততক্ষণ শুভেন্দু দলের সদস্য। শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। আমরা দুঃখিত। কিন্তু উনি বিধায়ক বা দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে এখনও পদত্যাগ করেননি। যতক্ষণ পার্টিতে আছেন, ততক্ষণ ওঁর সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে। বিজেপির মুখ নেই। প্রচার বোঝেন। আগে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের টিম তৈরি হত, এ দল থেকে ও দল থেকে টেনে। তৃণমূলে কেউ বিক্ষোভ দেখালেই ওরা স্বাগত জানায়। একটা পার্টির লজ্জা থাকা উচিত।’ এই অবস্থায় আগামিকাল হলদিয়ায় যেমন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বোসের নেতৃত্বে তৃণমূল যুব কংগ্রেস এক মহামিছিলেন আয়োজন করতে চলেছে তেমনি আগামী ৭ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে সভা করতে আসছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দির খাস তালুক হিসাবে হলদিয়ার যতটা পরিচিতি ঠিক ততটাই পরিচিতি মেদিনীপুর শহরেরও। রবি বিকালে হলদিয়া শহরের কদমতলা থেকে সিটি সেন্টার পর্যন্ত ওই মহামিছিল হবে। পরে হবে জনসভাও। কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে এই মিছিল ও সভার ডাক দেওয়া হলেও মূল লক্ষ্য শুভেন্দুকে ছাড়া দল কতখানি চলতে পারবে তা মেপে নেওয়া। আর তৃণমূলনেত্রী মাঠে নামছেন মানেই দলের সব কিছু ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়া। কার্যত শুভেন্দু গড়ে ধ্বস নামাতেই এবার মাঠে নামছেন মমতা।
More News:
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
মানুষের ছ'কোটি মেরেছে শুভেন্দু, চিঠি হাতিয়ার করে তোপ অভিষেকের
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
ফেব্রুয়ারিতে স্কুল খুলবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রীই
23rd January 2021
সারা জীবন উৎসর্গ করেও যোগ্য সম্মান পাননি নেতাজি, মুখ খুললেন অনিতা পাফ
23rd January 2021
23rd January 2021
Leave A Comment