নিজস্ব প্রতিনিধি: কর্মরত ছিলেন জওয়ান। আর কর্মরত অবস্থাতেই আত্মঘাতী (SUICIDE) হলেন তিনি। রবিবার সকালের ঘটনা। মৃত জওয়ান সিআইএসএফ (CISF) জওয়ান ছিলেন। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার ঘটনা। ঘটনায় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে হঠাৎ গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। শব্দের উৎস সন্ধানে ছুটে আসেন তাঁরা। এসে দেখতে পান, রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পরে আছে তাঁদের সহকর্মীর দেহ। ঘটনায় সিআইএসএফ ক্যাম্প জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সিআইএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত জওয়ানের নাম রাম কুমার সিং। বয়স আনুমানিক ৪৮। মৃত বিহারের বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, কনস্টেবল পদে কাজ করতেন ওই জওয়ান। কর্মরত ছিলেন ফরাক্কার এনটিপিসি পাওয়ার প্ল্যান্টে। এখানেই নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্ল্যান্টের ভেতরে মৃতদেহ পরে থাকতে দেখতে পেয়ে খব্র দেওয়া হয়েছিল পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কেন এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই জওয়ান, তা জানা যায়নি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মানসিক অবসাদ থেকেই এই সিদ্ধান্ত। এই ঘটনায় প্ল্যান্ট জুড়ে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পার্ক সার্কাসে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছিলেন চোদুপ লেপচা নামে এক পুলিশকর্মী (POLICE)। তাঁর গুলিতে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েছিলেন রিমা সিংহ নামে এক মহিলা। তিনি হাওড়ার বাসিন্দা। ২৬ বছর বয়স ওই মহিলার। গুলি চালানোর পর ওই পুলিশকর্মী নিজের কাছে থাকা বন্দুক দিয়ে নিজেকেও গুলি করে আত্মঘাতী হন। যখন ওই পুলিশকর্মী এলোপাথাড়ি গুলি চালান তখন গুলিবিদ্ধ হন আরও ২ ব্যক্তি, তাঁদের নাম যথাক্রমে বসির আলম নুমানি এবং মহম্মদ সরফরাজ। গুলিবিদ্ধ বসিরের চিকিৎসা চলেছে এসএসকেএম হাসপাতালর ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। এসএসকেএম হাসপাতালে ৫টি বিভাগের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলেছে তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, বসিরের ডান কাঁধের নীচে পিঠের দিকে গুলি লেগেছে। এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। তারপর এদিন জওয়ানের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা ফের উস্কে দিল এই স্মৃতিই।