নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রবাদ আছে, ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়। কিন্তু বঙ্গ বিজেপি নেতারা বোধহয় এই আপ্ত বাক্য ভুলে গিয়েছেন। না হলে বিধানসভা ভোটের আগে ‘যোগদান মেলা’ করে মুখ পুড়লেও শিক্ষা নেননি গেরুয়া বাহিনীর নেতারা । আবার তাঁরা নতুন করে ‘যোগদান মেলা’ করতে চাইছেন। যার জেরে ফের মাথা চাড়া দিয়েছে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব।
বঙ্গ বিজেপির ফের এই ধরনের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জোর দ্বন্দ্ব। একদল চাইছে শূন্যস্থান পূরণ করতে। আবার একদলের মত, এতে পুরানো কর্মীদের গুরুত্ব কমে যায়। দলের অন্দরের খবর, এমনিতেই বিজেপির এই ‘যোগদান শিবির’ খেলার জন্য, অনেক পুরানো কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন। বুথে বুথে নেই কর্মী। ফের ‘যোগদান কর্মসূচি’ হলে এবারে কর্মী কমবে আরও। অন্তর্দ্বন্দ্ব আসবে আরও প্রকাশ্যে।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির যোগদান কর্মসূচি রাজ্যজুড়ে সংগঠিত হয়েছিল। দিল্লি থেকে ছুটে এসেছিলেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। তবে মোদি-শাহ-নাড্ডা বা রাজনাথ সিং, স্মৃতি ইরানি এলেও বঙ্গ দখলের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গিয়েছে পদ্মশিবিরের। বঙ্গের আদি বিজেপির দাবি, দল ভাঙানোর রাজনীতি বুমেরাং হয়েছিল। আবার নতুন করে দল ভাঙানোর খেলা শুরু হলে একই হাল হবে বলে আশঙ্কা তাঁদের। বঙ্গের আদি বিজেপির নিশানায় পড়েছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় থেকে অমিতাভ চক্রবর্তী। সদর দফতর সহ জেলায় জেলায় দেখানো হয়েছে বিক্ষোভ। ‘আদি’দের অসন্তোষকে সমর্থন জানিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বর্তমান সর্ব ভারতীয় বিজেপি সহ সভাপতি দিলীপ ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমাদারের দ্বন্দ্ব সকলের জানা। সুকান্ত সমজুমদারের জমানায় ফের শুরু হচ্ছে দল ভাঙানোর রাজনীতি। যাকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরে বিরোধ দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সুকান্ত বলেছিলেন, ‘বেছে বেছে আলু নেবে বিজেপি’। আর দলের রাজ্য সভাপতির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জোরদার প্রচার শুরু করেছে ‘বিজেপি বাঁচাও’ সংগঠন। ফের দলবদল শুরু হলে এই দ্বন্দ্ব আরও বাড়বে বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।