নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনাকে ঢাল করে এবার ব্যবসার রমরমা শুরু করেছে বেসরকারি হাসপাতাল গুলি। সামান্য ঘটনার জন্য চিকিৎসা করাতে গেলেই করোনা টেস্টের নামে মোটা টাকা নেওয়া। সঙ্গে করোনার ‘ভুল’ রিপোর্ট দিয়ে ব্যবসার ঘটনা আগেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালকে। আগরপাড়া স্টেশন রোডের বাসিন্দা রাজীব ভট্টাচার্য। গত ৪ জানুয়ারি রাজীব বাবুর শাশুড়ি পড়ে গিয়ে পায়ে চোট পান। চোট গুরুতর দেখেই আগরপাড়ার নেতাজি সেবায়ন নামক এক বেসরকারি হাসপাতালে শাশুড়িকে ভর্তি করান রাজীব।
তাঁর অভিযোগ, ওই বেসরকারি হাসপাতালে শাশুড়িকে নিয়ে যেতেই পায়ের ব্যাথার চিকিৎসা না করে সোজা র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়। তারপরেই করোনা আক্রান্ত বলে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাজীবের শাশুড়িকে ভর্তি করে দেওয়া হয়। রাজীব জানান, পুরো কাজটাই হয়েছে তাদের অনুমতি না নিয়ে। এমনকি করোনা রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। দু’দিনে ৭০ হাজার টাকার বিল করা হয়। জিজ্ঞাসা করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় ‘বিশেষ চিকিৎসা’ চলছে। বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত রাজীব চিন্তায় পড়ে যান। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, দু’দিনে ৭০ হাজার টাকার বিল। যা দেখেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় রাজীবের। সবকিছু ভুলেই শাশুড়িকে বাড়ি নিয়ে এসে চিকিৎসা করান রাজীব।
তাঁর অভিযোগ, এইভাবে করোনাকে ঢাল করে লুঠেপুটে খাচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল গুলি। রাজীব তাঁর শাশুড়ির করোনা রিপোর্ট চাইতেই দু’দিন বাদে হাসপাতাল তথ্য দেয়। রিপোর্টে দেখা যায় করোনা নেগেটিভ রাজীবের শাশুড়ি। এতে রীতিমত ক্ষিপ্ত রাজীব। ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ জানানোর চিন্তাভাবনা করছেন রাজীব। তিনি জানিয়েছেন, ‘মা পড়ে গিয়ে ব্যাথা পান পায়ে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যেতেই ওরা র্যাপিড টেস্ট করায়। সেই টেস্ট যদিও আমাদের সামনে হয়নি। এরপর মাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। এরপর যখন মাকে ওরা ছেড়ে দেয় দু’দিনে ৭০ হাজারের কাছে বিল হয়ে যায়। যেটা আমাদের পক্ষে বহন করা অসম্ভব হয়ে যায়। এরপর বাড়ি আনার সময় আমরা ওদের কাছে করোনা রিপোর্ট চাই। কিন্তু ওরা দেয়নি। পরে আজ সকালে ওরা আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে রিপোর্ট পাঠায়। সেই রিপোর্টে দেখি নেগেটিভ। এবার মাকে ওরা যে ওষুধ দিয়েছে তা করোনার। এই সমস্যার কি আদৌ কোনও সমাধান আছে?’