নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে লাগু হওয়া বিধিনিষেধে সেলুন ও বিউটি পার্লার খোলার অনুমতি দিল নবান্ন। রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরেই জারি হয়েছে আংশিক বিধিনিষেধ। যাতে কোপ পড়েছে সেলুন ও বিউটি পার্লারের উপর। গত রবিবার রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়ে দেন এই বিধিনিষেধে বিউটি পার্লার ও সেলুন সম্পূর্ণরুপে বন্ধ থাকবে। যাতে বেজায় চাপে পড়ে যান ওই পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ জানান সেলুন ও বিউটি পার্লার বিধি মেনে খুলতেই। যাতে সাড়া দিয়ে শনিবার রাজ্য সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিধি মেনেই ৫০ শতাংশ গ্রাহকদের নিয়ে রাত ১০ টা পর্যন্ত সেলুন ও বিউটি পার্লার খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে সেলুনে বা বিউটি পার্লারে কর্মরত কর্মীদের প্রত্যেকের করোনার জোড়া ভ্যাকসিন থাকা বাধ্যতামূলক।
করোনার সংক্রমণের কথা মাথাতে রেখেই সেলুন ও বিউটি পার্লার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন। আগেও একাধিকবার বন্ধ হয়েছে এই ব্যবসায়িক মাধ্যম। তাতে ব্যাপক আর্থিক টানাটানিতে পড়তে হয়েছে সেলুন ও বিউটি পার্লারের কর্মীদের। তাই করোনা ঠেকাতে রাজ্যে নতুন করে জারি করা বিধিনিষেধের মধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয় সেলুন ও বিউটি পার্লার। যাতে ক্ষুদ্ধ হন ওই পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা। রাস্তায় নেমে কিংবা রেললাইনে অবরোধ করে দ্রুত সবকিছু খুলে দিতে আর্জি জানান খুড়দাররা। তাতে সাড়া দিয়েই শনিবার থেকেই রাজ্যে সেলুন ও বিউটি পার্লার খোলার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সেই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছেন।
যেহেতু রাজ্যে রাত ১০ টা থেকে বিধিনিষেধ রয়েছে তাই সেই সময়ের মধ্যেই সেলুন ও বিউটি পার্লার বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়েই দিতে হবে পরিষেবা। টিকার দুটি ডোজ থাকলে তবেই কর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে বিউটি পার্লার ও সেলুনে। প্রতি মুহূর্তে করতে হবে স্যানিটাইজেশন।