নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচড়া: পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে ততই বিজেপি-সিপিএমের মধ্যে বন্ধুত্বের বাঁধন জোরালো হচ্ছে। সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বিজেপিকে সার্টিফিকেট দেওয়ার পরেই উৎসাহিত হয়ে পড়েছেন নিচুতলার লাল পার্টির কমরেডরা। বুধবার হুগলিতে ফের একই সঙ্গে বিক্ষোভ দেখাতে গেল বিজেপি ও সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় মুখ বাঁচাতে ছেঁদো অজুহাত হাজির করেছেন বাংলার মানুষের কাছে গলাধাক্কা খাওয়া সিপিএম নেতৃত্ব।
এদিন আবাস যোজনায় দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে হুগলির সুগন্ধায় পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভের কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। ওই মিছিলে গেরুয়ার পতাকার পাশাপাশি সিপিএমের দলীয় পতাকা হাতে বেশ কয়েকজনকে সামিল হতে দেখা যায়। ওই দৃশ্য দেখে হতচকিত হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারাও। কেননা লালঝাণ্ডা হাতে যাঁদের দেখা গিয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই এলাকায় কমরেড হিসেবে পরিচিত। লাল পতাকা হাতে নিয়ে বিজেপির মিছিলে সামিল হওয়া ‘কমরেড’ সুশান্ত নায়েক অবশ্য মোটেও লজ্জিত নয়। তাঁর বক্তব্য, ‘দীর্ঘদিন ধরে সিপিএম করছি। বিজেপির মতো আমরাও আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত। তাই প্রতিবাদে সামিল হয়েছি।’
উল্লেখ্য, গত মাসেই হারিটে বিজেপির মিছিলে দলীয় পতাকা হাতে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল স্থানীয় সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের। ওই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায়। সিপিএম জেলা নেতৃত্ব, লালঝাণ্ডাধারীদের নিজেদের সদস্য বলে মেনে নিতে অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু এদিন সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সম্প্রতি দলের প্রাক্তন সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ‘বিজেপির সবাই দাঙ্গাবাজ নয়’ বলে সার্টিফিকেট দেওয়ার পরেই নিচুতলার কর্মী-সমর্থকরা বিজেপির সঙ্গে দহরম-মহরম বাড়াতে আসরে নেমেছেন।