নিজস্ব প্রতিনিধি: বিরোধীরা বলেন, মাঠের থেকে সিপিএম বেশি করে আছে ফেসবুকে। তবে দল মনে করে সমাজ মাধ্যমেও দল ঠিকঠাক সংগঠিত নয়। তাই সমাজমাধ্যমকে সংগঠিত ভাবে ব্যবহার করতে উদ্যোগী হচ্ছে সিপিএম (CPIM)। নেওয়া হচ্ছে বিশেষ উদ্যোগ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের বুথ স্তর থেকে সামাজমাধ্যমে নিজেদের আরও সক্রিয় করতে চায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
সূত্রের খবর, সেই উদ্যোগ সফল করতেই আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সিপিএম রাজ্য কমিটির অনুমতিক্রমে একটি বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে দলের ডিজিট্যাল শাখা। নিউটাউনের রবীন্দ্রতীর্থ প্রেক্ষাগৃহে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। রাজ্যের ২২টি জেলা থেকে মোট ২০০ জন প্রতিনিধি এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এই প্রতিনিধিরাই প্রশিক্ষণ নিয়ে জেলায় জেলায় সিপিএমের হয়ে নেটমাধ্যমে প্রচার করবেন। যা আগামী পঞ্চায়েত ভোটে বামেদের পক্ষে খুবই কার্যকর হবে বলে মনে করেছে সিপিএম।
নয়া এই উদ্যোগের জন্য একটি স্লোগানও তৈরি করেছে সিপিএমের ডিজিট্যাল শাখা। তাতে বলা হয়েছে, ‘হেঁটেও এবং নেটেও আছি।’ একদিনের এই সম্মেলনে একাধিক কর্মশালার আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি হবে কর্পোরেট কায়দায় রাউন্ড টেবিল বৈঠক। সেখানে এক দিকে যেমন ভিডিয়ো সম্পাদনার বিষয়টি হাতেকলমে শেখানো হবে তেমনই গ্রাফিক্সের কাজ শেখানোও হবে। পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন স্তরে দলের প্রচারকে কী ভাবে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে, তাও শেখানো হবে। এই কর্মশালার আয়োজনে বাইরের কোনও বেসরকারি সংস্থা বা শক্তির সাহায্য নেবে না সিপিএম। বরং দলের নেতা, কর্মী, সমর্থকদের এই সম্মেলনে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে বলা হবে।
এই প্রসঙ্গে সিপিএমের ডিজিট্যাল শাখার এক সদস্যের কথায়, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে এই ধরণের কাজ বিভিন্ন বেসরকারি বহুজাতিক কর্পোরেট সংস্থা করে থাকে। তার বিনিময়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ওই রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু আমাদের দলের তেমন অর্থসংস্থান নেই। তাই ডিজিট্যাল সম্মেলন আয়োজনের ক্ষেত্রে আমরা আমাদের কর্মী, সমর্থক ও পার্টি দরদীদের থেকেই সাহায্য নিচ্ছি’।
দলের এই ডিজিট্যাল সম্মেলন নিয়ে সিপিএম নেতা পলাশ দাস বলেন, ‘ভারতের অন্য রাজনৈতিক দলগুলি অর্থের জোরে সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করছে। সিপিএমই একমাত্র রাজনৈতিক শক্তি যাঁরা দেশের মধ্যে ব্যতিক্রমী পথে হাঁটছে। কর্মী-সমর্থকরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে এমন এক ডিজিট্যাল সম্মেলনের আয়োজন করছেন, যা দেশের রাজনীতিতে নজিরবিহীন’। তাঁর আরও দাবি, এমন আয়োজনে নীচুতলায় জনসংযোগের কাজে সিপিএমের আগামী পঞ্চায়েত ভোটে সুবিধা হবে। তৃণমূলের কটাক্ষ, মাঠে না পেরে ফেবু রাজনীতি করছে বাম। পঞ্চায়েত মানে মাঠের রাজনীতি।