নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমুল নেতা প্রতুল বর্মনকে হত্যার দায়ে দুই ব্যক্তিকে যাব্বজীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিল দক্ষিন দিনাজপুর জেলা আদালত। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেয় দক্ষিন দিনাজপুর জেলা আদালতের অ্যাডিশনাল ফার্স্ট কোর্টের বিচারপতি অখিলেশ কুমার পান্ডে। এই হত্যাকান্ডে দোষী প্রমাণিত দুই আসামী পরেশ বর্মন ও প্রসেনজিৎ মন্ডলকে যাব্বজীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। যাব্বজীবন সাজার পাশাপাশি দুজনকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করেন বিচারপতি। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস জেল এর সাজা ঘোষনা করে আদালত।
বালুরঘাট আদালতের সরকারি আইনজীবি ঋতব্রত চক্রবর্তী জানান, ২০১৭ সালে ৮ জানুয়ারি প্রতুল বর্মনের দেহ উদ্ধার হয় দক্ষিন দিনাজপুরের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝিগ্রাম এলাকা থেকে। প্রতুল বর্মন তৃণমূলের অমৃতখণ্ড অঞ্চলের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের মালঞ্চার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। প্রতুলকে খুন করার পর মৃতদেহ যাতে কেউ শনাক্ত করতে না পারে সেই কারণে খুন করার পর মুখ থেতলে অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনাতেই বৃহস্পতিবার এই রায় দিলেন বিচারপতি। মৃত প্রতুল বর্মনের স্ত্রী বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন।
প্রতুল বাবুর স্ত্রী শিপ্রাদেবী জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন বিকেল ৪টে নাগাদ প্রতুল বর্মনের মোবাইলে একটি ফোন আসে। তিনি তখনই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তার পর রাতে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। এরপর নিজের বাড়ি থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অমৃতখণ্ডের মালঞ্চা এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রতুল বর্মনের থেতলানো দেহ। দেহটি বস্তায় ভরে মাঝিগ্রাম এলাকার মাঠে ফেলে রেখে গিয়েছিল খুনিরা। এরপর থানায় খবর দেওয়া হলে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই খুনের মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার রায় শোনাল আদালত।