নিজস্ব প্রতিনিধি, মন্তেশ্বর: দিদি ও ভাগ্নেকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে খুন করে নিজেও আত্মঘাতী অভিযুক্ত। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার পিপলন পঞ্চায়েত এলাকায়। যদিও একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর আসল কারণ এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। মৃতদের নাম মালবিকা চক্রবর্তী (৫২), কৌশিক চক্রবর্তী (২৪) ও উৎপল চট্টোপাধ্যায় (৪৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্তেশ্বর থানার পিপলন পঞ্চায়েত এলাকার খাঁদরা গ্রামের বাসিন্দা মালবিকা চট্টোপাধ্যায়। এখানেই ছেলে কৌশিককে নিয়ে থাকতেন তিনি। অনেক দিন আগেই মারা গিয়েছেন স্বামী। কলকাতায় তাঁর চা-দুধের ব্যবসা ছিল। সেই ব্যবসাই সামলাতেন মালবিকার ভাই উৎপল। দিদি, ভাগ্নের সংসারও চালাতেন তিনি। ব্যবসার কাজে মাসের বেশিরভাগ দিনই কলকাতাতেই থাকতেন তিনি। তবে করোনা ও লকডাউনের জোড়া ঠেলায় ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়ে। সম্প্রতি খাঁদরায় এসে দিদির সঙ্গেই থাকছিলেন উৎপল। রবিবার ছুটির দিন বাড়ির পরিচারিকা কাজে এসে দেখেন, তিনজনের কেউই আর জীবীত নেই। তিনি প্রতিবেশীদের ডাকেন, তারপর খবর যায় মন্তেশ্বর থানায়।
পুলিশ জানিয়েছেন, মালবিকা এবং কৌশিকের দেহ যে ঘরে পড়েছিল, সেখান থেকে ঘুমের ওষুধের প্যাকেট পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে, উৎপলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। ফলে এলাকাবাসী ও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দিদি ও ভাগ্নাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে খুন করে নিজে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে উৎপল। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর আসল কারণ স্পষ্ট হবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে। তবে পাড়া-প্রতিবেশীদের অনুমান, বাজারে বেশ কিছু দেনা ছিল উৎপলের। ব্যবসায় ভালো লাভ হলে, সেগুলি মেটাতেন। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে অভাব ক্রমেই বাড়তে থাকছে। আর তা থেকেই মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন উৎপল। গোটা বিষয়টিই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।