নিজস্ব প্রতিনিধি: এবছর রাজ্য সরকারের নির্দেশে রাজ্য পুলিশের প্রধান অর্থাৎ ডি জি রাজীব কুমার বিভিন্ন প্যান্ডেল পরিদর্শন করবেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে এবার রাস্তায় নামছেন ডিজি রাজীব কুমার(DG Rajeev Kumar)। সব পুলিশের ছুটি ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। পুজো প্যান্ডেল গুলি ঘিরে বাড়তি সর্তকতা নিচ্ছে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ।এদিকে,শহরের নাম করা পুজো মণ্ডপগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার মোট ১০ টি পুজো মন্ডপ পরিদর্শন করেন কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি সদর মিরাজ খালিদ। চেতলা অগ্রনী ক্লাব দিয়ে শুরু হয় পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন। চেতলা অগ্রণী ক্লাবের জয়েন্ট সিপি (সদর) মিরাজ খালিদের(Miraj Khalid) সঙ্গে ছিলেন ডিসি (সাউথ) প্রিয়ব্রত রায় ।

দুর্গাপূজার সময়ে শহরের নামী পুজো মণ্ডপগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শুক্রবার কলকাতা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সদর)মিরাজ খালিদ ১০টি পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। চেতলা অগ্রণী ক্লাব দিয়ে পরিদর্শনের কাজ শুরু হয়। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডিসি সাউথ প্রিয়ব্রত রায়। পুজোর সময় প্রচুর মানুষের সমাগম হয়, তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনো ফাঁক রাখা যাবে না, এই মর্মে সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। জঙ্গি কার্যকলাপের যাতে কোন ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা।

এরপর নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘের পূজা মণ্ডপে যান মিরাজ খালিদ, সেখানে পুজোর উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সঙ্গে সুরক্ষা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হয়। সেখানেও তিনি স্থানীয় পুলিশ ও মণ্ডপের আয়োজকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। যাতে জনসুরক্ষা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে।এই পর্যবেক্ষণ পর্বে শহরের বেশ কয়েকটি বিখ্যাত মণ্ডপ অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রতিটি মণ্ডপে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, জরুরি বাহিনী, এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েনের বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। মিরাজ খালিদ প্রতিটি মণ্ডপের আয়োজকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। যাতে দুর্গাপূজার সময় শহরজুড়ে সুষ্ঠু ও সুরক্ষিত পরিবেশ বজায় রাখা যায়।সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, মণ্ডপগুলিতে ঢোকার এবং বের হওয়ার পথগুলি ঠিকঠাক আছে কিনা এবং মণ্ডপের ভেতরে ও বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরার সঠিক ব্যবস্থাও পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রতিটি পুজো উদ্যোক্তাদের পুজোর কদিন প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে কি কি ব্যবস্থা নিতে হবে সে ব্যাপারেও কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা আলোচনা করেন।