নিজস্ব প্রতিনিধি : ফের বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এবার ভুল মূর্তিতে মালা দিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী। এখানেই শেষ নয়, মূর্তির পরিচয় শুনে প্রশ্নও করে বসেন দিলীপ, যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
রবিবার আর পাঁচটা দিনের মতো চা চক্রে বেরিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। বর্ধমান রাজা ভেবে রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ একজনের গলায় মালা পড়িয়ে দেন দিলীপ। শুধু মালা পড়িয়ে দেওয়াই নয়, ‘মহারাজ উদয়চাঁদ অমর রহে’ বলে জয়ধ্বনি দেন দিলীপ। ঠিক সেই সময় দিলীপের ঘনিষ্ঠরা বোঝানোর চেষ্টা করেন, উনি মহারাজা উদয়চাঁদ নন, বনবিহারী কপূর। শুনে কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করে দিলীপ বলে ওঠেন, এখানে আবার কপূর এল কোথা থেকে।
গোটা বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। কটাক্ষের সুরেই তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস জানান, যিনি গরুর দুধে সোনা খুঁজে পান, তাঁর কাছে সবই স্বাভাবিক। এরা ইতিহাস ভূগোল জানে না। মণীষীদের চেনে না। এই সব ভুল বর্ধমানের মানুষ সহ্য করবে না। উল্লেখ্য, বিজয়চাঁদ মাতাবের মৃত্যুর পর ছেলে উদয়চাঁদ বর্ধমান রাজবাড়ির সিংহাসনে বসেন। স্বাধীনতার পর ১৯৫২ সালে ভোটে লড়েছিলেন উদয়চাঁদ। তাঁর হয়ে ভোটে প্রচার করেছিলেন জওহরলাল নেহরু। গবেষকদের মতে, যার গলায় ভুল বশত দিলীপ ঘোষ মালা পড়িয়ে দেন, তাঁর নাম বনবিহারী কপূর। বনবিহারী কপূর পেশায় ছিলেন একজন জ্যোতিষী। তিনি উদয়চাঁদের বাবা বিজয়চাঁদকে দত্তক নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন রাজা আফতাবচাঁদের কাছে। পরিবর্তে রাজা বনবিহারীকে এস্টেট দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। বনবিহারীর মৃত্যুর পর রাজবাড়ি চত্বরে তাঁর একটি মূর্তি বসানো হয়। সেই মূর্তিতেই মহারাজা ভেবে মালা পড়িয়ে দেন দিলীপ। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটুক্তি করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন দিলীপ।