নিজস্ব প্রতিনিধি: গণধর্ষণ আদৌ হয়নি। বাবার বকুনি এড়াতে স্রেফ গল্প ফেঁদেছিল নাবালিকা। উঠে এল চাঞ্চল্যকর এই তথ্য। পরিবারের দাবি, এমনটাই। উল্লেখ্য, পুলিশ সুপার আগেই জানিয়েছিলেন, ‘স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এখনও ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি’। ঘটনার তদন্তে নেমেছিল পুলিশ (POLICE)। মেলা থেকে ফেরার সময় গণধর্ষণের শিকার হয়েছে সে, নাবালিকার দাবি ছিল এমনটাই। তারপর পরিবারের সদস্যদের দেখিয়ে ‘ভুয়ো আত্মহত্যা’র চেষ্টাও করে নাবালিকা। ওই ‘মিথ্যেবাদী’ নাবালিকা চিকিৎসাধীন ছিল। গণ ধর্ষণের খবরে এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল চাঞ্চল্য। বীরভূম জেলার ঘটনা।
নানুর থানার সাঁওতা গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরী। জানা গিয়েছে, বীরভূমের কীর্ণাহারে বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে মেলা চলছিল। গত শনিবার রাতে স্কুটিতে করে মেলা গিয়েছিল নাবালিকা। নাবালিকার মিথ্যে অভিযোগ ছিল, মেলা থেকে ফেরার সময় বাড়ি থেকে কিছু দূরে ওই কিশোরীর পথ আটকায় ৪জন যুবক। এরপর গ্যাস দিয়ে কিশোরীকে অজ্ঞান করা হয়! তারপরেই করা হয় গণধর্ষণ! স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে নাবালিকার দাবি ছিল, অচেতন থাকার জন্য নাবালিকা সারা রাত রাস্তাতেই পড়েছিল! সকালে জ্ঞান ফিরলে কোনওমতে উঠে মোবাইল ও স্কুটি কুড়িয়ে বাড়ি ফিরে আসে সে! তার পোশাকে ছিল রক্তের দাগ! আসলে পুরোটাই গল্প। রাতে বাড়ি না ফিরে পরের দিন সকালে ফিরেছে সে। বাবার শাসন এড়াতেই মিথ্যে গল্প ফেঁদেছিল ওই নাবালিকা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকা জুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
জানা গিয়েছে, নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল নাবালিকা। পরিবারের কারওর ডাকেই সাড়া দিচ্ছিল না। তারপর ওই নাবালিকার ঘরে ঢুকে পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান, গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস নেওয়ার চেষ্টা করছে নাবালিকা। আসলে ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’ ছিল ভুয়ো! তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিল নাবালিকা। অবশেষে প্রকাশ্যে এল আসল ঘটনা।
মেলা কমিটির সম্পাদক বলেন, রাত ১০টাতেই মেলা বন্ধ হয়ে যায়। অনেক রাত অবধি মেলা খোলা থাকে না। মিথ্যে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ান দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলে নাবালিকা। তখনই জানা যায় আসল সত্যি। সারা রাত ওই নাবালিকা ছিল তার বন্ধুর বাড়িতে।