নিজস্ব প্রতিনিধি: পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের দাঁড়িভিট বিদ্যালয়ের ২ ছাত্রের। পড়ুয়াদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, বাংলা ভাষায় শিক্ষক নিয়োগের। তবে নিয়োগ হয়েছিল উর্দু শিক্ষকের। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছিল শিক্ষার্থীরা। আর সেই আন্দোলন চালাতে গিয়েই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল পড়ুয়াদের। ঠিক কোন পরিস্থিতিতে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ, তা জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (HC)।
সোমবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি নির্দেশ দেন, কোন পরিস্থিতিতে গুলি চালানো হয়েছিল তা নিয়ে রাজ্য সরকার রিপোর্ট জমা দেবে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে। আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার শিক্ষক ছিলেন না। তাই মাতৃভাষায় শিক্ষক নিয়োগের দাবি তুলেছিল পড়ুয়ারা। তবে দেখা যায়, শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে উর্দু ভাষার জন্য়। আর তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। শুরু হয় আন্দোলন। ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আন্দোলনরত পড়ুয়াদের ঠেকাতে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। তাপস বর্মণ এবং রাজেশ সরকার নামে দুই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। এছাড়া বিপ্লব সরকার নামে দশম শ্রেণির ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়। পড়ুয়াদের উপরে গুলি চালানোর ঘটনায় উত্তাল হয় গোটা রাজ্য। ওই মামলার শুনানিতে আজ রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।