এই মুহূর্তে




অতি গভীর নিম্নচাপ নাকি ঘূর্ণিঝড়! ভাবাচ্ছে বাংলাকে




নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্যোগ যে ধেয়ে আসছে তা বঙ্গবাসীর সিংহভাগেরই আর জানতে বাকি নেই। তবে তাঁদের ভাবাচ্ছে দুর্যোগের রূপ কী হবে তা নিয়ে। কেননা সামনেই পুজো। কিছু কিছু মানুষের ধারনা দেবী এবার ঘোটকে আসছেন, যার ফল ছত্রভঙ্গ। সামুদ্রিক ঝড় ধেয়ে এলে কিন্তু সেই দশাই হয়। আয়লা থেকে আম্ফান সেই ছবিই কিন্তু বঙ্গবাসীর সামনে তুলে ধরেছিল। পুজো যখন আর মাত্র দুই সপ্তাহ দূরে তখন বঙ্গোপসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে সেখানে জন্ম নেওয়া এক গভীর নিম্নচাপ। দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়ে দিয়েছে, এদিন সে অতি গভীর নিম্নচাপের চেহারা নেবে। কিন্তু তাঁদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে এই নিম্নচাপের শক্তিবৃদ্ধির গতি। তাঁদের ধারনা রবিবার এই অতি গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়ে ওড়িশা উপকূলে পা রাখবে। আর যদি সে শেষ মুহুর্তে বাঁদিকে বাঁক নিয়ে বাংলার উপকূলে হাজির হয় তো সমীহ বিপদ।

সাধারনত বর্ষার মাঝে বঙ্গোপসাগরে বা আরব সাগর কিংবা ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম হয় না। এই উপমহাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের সময় তাই বর্ষার আগে বা পরে। কিন্তু এখন প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় সেই নিয়ম ভাঙতে বসেছে। তাছাড়া স্থলভূমির কাছে জন্ম নেওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার সুযোগ পায় না। তাঁর আগেই সে স্থলভূমিতে প্রবেশ করে শক্তি খোয়াতে শুরু করে। শুক্রবার উত্তর মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। সাধারনত এইসব নিম্নচাপ ২৪ বা ৪৮ ঘন্টা বাদে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। কিন্তু আবহাওয়াবিদদের চমকে দিয়ে মাত্র ১২ ঘন্টার মধ্যেই সে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। কার্যত যে গতিতে সে সাগরের বুকে শক্তি সঞ্চয় করছে তা একমাত্র আয়লার সঙ্গেই তুলনীয়। আর এই গতিতে সাগরে দাঁড়িয়ে সে শক্তি সঞ্চয় করতে থাকলে এদিনই সে অতি গভীর নিম্নচাপের চেহারা নেবে যা ঘূর্ণিঝড়ের ঠিক এক ধাপ আগের অবস্থা। আর এখানেই বিপদ দেখছেন আবহাওয়াবিদরা। তাঁদের আশঙ্কা, এদিন অতি গভীর নিম্নচাপের চেহারা নিয়েই সে স্থলভূমির দিকে এগোতে শুরু করবে। পথেই সে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। সে ক্ষেত্রে স্থলভাগ স্পর্শকালে তাঁর গতিবেগ হতে পারে ঘন্টায় ১০০ থেকে ১২০কিমি।

প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এই দুর্যোগের অভিমুখ ওড়িশা উপকূল। তবে এখানেও থাকছে শঙ্কা। কেননা নিম্নচাপের গতিমুখের পরিবর্তন ঘটে না। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের গতিমুখের পরিবর্তন ঘটে স্থলভাগের কাছে এসে। সেক্ষেত্রে সাগরে সৃষ্টি এই দুর্যোগের ধাক্কার অভিমুখে বাংলা না ওড়িশা পড়বে তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্যোগ ধেয়ে এলে তা ঠেকানোর কোনও উপায় নেই। যদি ওই অতি গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয় আর তা যদি ওড়িশায় ধেয়ে যায় তাহলে বাংলায় বড়জোড় ভারী বৃষ্টি হবে। বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি জেলায় বৃষ্টি ঝরবে। কিন্তু সেই ঘূর্ণিঝড় যদি গতিপথ বদলে বাংলায় ধেয়ে আসে তাহলে ফল কিন্তু সেই ছত্রভঙ্গ। তার মধ্যেই চিন্তা বাড়াচ্ছে ওই ঘূর্ণিঝড়ের পিছু পিছু ধেয়ে আসা এক ঘূর্ণাবর্ত। দুইয়ের যুগলবন্দীতে পুজোর আগে বাংলার দশা কার্যত বানভাসি হতে চলেছে। আর সেই পরিস্থিতি অনুমান করেই কোমর বেঁধে প্রস্তুতি সেরে রেখেছে নবান্ন। শনিবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে মৎস্যজীবীরা ইতিমধ্যে চলে গিয়েছেন, তাঁদের আজকের মধ্যেই ফিরে আসার কথা বলা হয়েছে। প্রবল বর্ষণে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা ফের জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকায় লালবাজারে ইউনিফায়েড কমান্ড সেন্টার খুলেছে কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার দুপুর থেকেই চালু হয়ে গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য তৈরি হওয়া এই কেন্দ্র। যাতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে একসঙ্গে কাজ করা যায় তার জন্য ওই কেন্দ্রে পুলিশ, পুরসভা, এনডিআরএফ, দমকল, সিইএসসি এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্তারা থাকবেন বলে খবর।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জামতারা গ্যাংয়ের কোমর ভাঙতে অপারেশন ‘সাইবার শক্তি’ সিআইডির

মাত্র ১ টাকায় চিকেন বার্গার! খেতে হলে আসুন এখানে

বিএসএফের পোশাক পড়ে পাচার করতে গিয়ে মালদা সীমান্তে গ্রেফতার ৩ পাচারকারী

জোরপূর্বক চিকিৎসা করাতে আসা শিশু কন্যার বমি পরিষ্কার করানো হল তার বাবাকে

ভোটার তালিকা তৈরিতে অনলাইনের নামে জালিয়াতির শঙ্কা, রুখতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল

বন্ধের মুখে মোদি সরকারের জল জীবন মিশন, বকেয়া ২৬৫ কোটি

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর