নিজস্ব প্রতিনিধি: আগে হোক আসন পুনর্বিন্যাস। তারপরে পুরভোট। এমনটাই চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই কমিশন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, হাওড়া পুর এলাকায় (HOWRAH MUNICIPAL CORPORATION) ওয়ার্ডের সংখ্যা ৫০। এর মধ্যে কয়েকটি ওয়ার্ড ভেঙে ছোট করতে হবে। তখন ওয়ার্ডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৬৬। তারপরে হবে পুরভোট। উল্লেখ্য, ৪টি বিধানসভা নিয়ে গঠিত হাওড়া পুর নিগম।
কেমন ভাবে ভাঙা হবে ওয়ার্ডগুলি? উন্নয়নের নিরিখে পিছিয়ে থাকা ওয়ার্ডগুলিকে ভাঙা হবে। যাতে প্রতিটি ওয়ার্ডে সরকারি সুযোগ- সুবিধা সমান ভাবে বন্টন করা হয়। জনঘনত্বের দিকে নজর রেখেও হবে ওয়ার্ড ভাঙা। উল্লেখ্য, এমন অনেক ওয়ার্ড আছে যেখানে জনসংখ্যা অনেক বেশি।
সূত্রের খবর, ৪৪ থেকে ৫০ নম্বরে থাকা ওয়ার্ডগুলিকে আগে ভাঙা হবে। তারপর নজর দেওয়া হবে জনঘনত্বের দিকে লক্ষ্য রেখে ওয়ার্ড ভাঙার দিকে। উল্লেখ্য হাওড়া উত্তর, হাওড়া মধ্য এবং হাওড়া দক্ষিণ ও শিবপুর বিধানসভা নিয়ে হাওড়া পুরনিগম। তবে ওয়ার্ড ভাঙা হলে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে শিবপুর। ওই বিধানসভা এলাকায় ১০টি ওয়ার্ড। ওয়ার্ড ভাঙা হলে তা হতে পারে ২০টি। জানা গিয়েছে, জেলা পুনর্বিন্যাসের পরে নতুন সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন।
জানা গিয়েছে, হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ড ভাঙার রিপোর্ট জমা দেওয়া হচ্ছে জেলাশাসকের কাছে। ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের দায়িত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত)। মহকুমা শাসকের তত্ত্বাবধনে হবে এই কাজ। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছেন জেলাশাসক। প্রসঙ্গত, পুজোর ছুটির পরেই হাওড়া পুরসভার নির্বাচন করতে চাইছে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকে হয়নি হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন। ওয়ার্ড বিন্যাস নিয়ে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়নি কমিশন। উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে হাওড়া থেকে বালি পুরসভা আলাদা করার প্রস্তাব পাশ হয়েছে বিধানসভায়। তবে সই করেননি তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই কারণেই এত বছর হয়নি ভোট। জানা গিয়েছে এই বিষয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সাক্ষাৎ করবেন ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশনের সঙ্গে। এই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন চায় বিন্যাস হোক ওয়ার্ডগুলির। ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল বিলে সই করার পরে শুরু হয়ে যাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি।