নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রায় সময়েই না কি ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন স্ত্রী (WIFE)। আর তাতেই সন্দেহ হয় স্বামীর (HUSBAND)। তবে ফোনের অপর প্রান্তে কে, তা অনেক চেষ্টা করেও ধরতে পারেননি স্বামী। পরকীয়া সন্দেহে লোহার রড দিয়ে স্ত্রীকে সন্দেহের বশেই মারতে থাকেন স্বামী। আঘাত করা হয় মাথায়। তারপর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পূর্ব বর্ধমানের ঘটনা।
ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের। ছাতনি গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত। অভিযুক্ত যুবকের নাম জয়দেব খাঁ। পেশায় রঙ মিস্ত্রি। এর আগে অভিযুক্তের পেশা ছিল মোটর চালিত ভ্যান চালানোর। তাঁর স্ত্রি রিঙ্কু। রয়েছে ২ সন্তান। অভিযুক্তের বাবা বাবলু খাঁ থাকেন আলাদা ভাবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার জয়দেব ও রিঙ্কুর মধ্যে রবিবার বচসা শুরু হয়। হঠাৎ তীব্র চিৎকার শুরু করেন জয়দেবের বাবা ও ২ সন্তান। এরপরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন রিঙ্কু রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে আছেন। এরপরে অভিযুক্তের বাবা রিঙ্কুকে উদ্ধার করে নিয়ে যান ভাতার হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
অন্যদিকে, সকাল প্রায় ৮ টা ৩০ থেকে নিখোঁজ ছিলেন জয়দেব। সকাল ১০ টা ৩০ নাগাদ দেখা যায় বড়বেলুন গ্রামে একটি ইলেকট্রিক ট্রান্সফরমারের তলায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে পড়ে আছেন জয়দেব। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা ভর্তি করেন ভাতার হাসপাতালে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। অভিযুক্ত বলেন, স্ত্রী কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। বারবার প্রশ্ন করা হলেও বলতেন না। নম্বর ডিলিট করে দিতেন। তাই রাগের মাথায় তিনি স্ত্রীকে পিটিয়েছেন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ (POLICE)। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।