নিজস্ব প্রতিনিধি: স্ত্রী এবং সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এবার শ্বশুরবাড়ির সামনেই ধর্নায় বসলেন স্বামী। শুধু তাই নয়, ‘ফিরে চলো’ প্ল্যাকার্ড হাতে দিনভর তাঁকে শ্বশুরবাড়ির বাইরেই বসে থাকতে দেখা গেল। এই ঘটনায় কার্যত হতবাক এলাকাবাসী। শেষমেষ ধর্নায় বসে থাকা স্বামীকে তুলতে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নিতে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ এসে স্বামী স্ত্রীকে বিবাদ মেটানোর জন্য থানায় নিয়ে গিয়েছে বলে খবর। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরে।
দুর্গাপুরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধিনগর কলোনির বাসিন্দা দেবদুলাল দাস ২০১২ সালে বিয়ে করেন মায়াবাজার এলাকার বাসিন্দা অপর্না দাসকে। দেবদুলালবাবুর দাবি, কোনও অশান্তি ঝামেলা না থাকা সত্ত্বেও অপর্ণা দেবী তাঁদের বছরের পুত্রকে সঙ্গে করে শশুরবাড়ি ছেড়ে বাপেরবাড়ি চলে এসেছেন। হাজার কাকুতি মিনতির পরেও তিনি দেবদুলালবাবুর সংসারে ফিরতে নারাজ। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই অপর্ণা দেবীর বাপেরবাড়ির সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্নায় বসেছেন দেবদুলাল দাস।
তবে দেবদুলালবাবুর স্ত্রী অপর্না দেবী এবং তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন বলছেন অন্য কথা। অপর্ণা দেবীর দাবি, বিয়ের দু’বছরের মাথায় তাঁদের একটি পুত্র সন্তান হওয়ার পর থেকেই দেবদুলালবাবুর আচরণে বিপুল পরিবর্তন আসে। তাঁদের দুজনের মধ্যে সর্বদাই কোনও না কোনও কারণে অশান্তি লেগে থাকত। এমনকি দেবদুলালবাবু বেশ কয়েকবার অপর্ণা দেবীর গায়েও হাত তুলছেন বলে অভিযোগ। এই অশান্তি, মারধরের হাত থেকে মুক্তি পেতেই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে শশুরবাড়ির মায়া ত্যাগ করে বাপের বাড়িতে চলে এসেছেন অপর্ণা দেবী। যদিও অপর্ণা দাসের এই সমস্ত অভিযোগে মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়েছেন স্বামী দেবদুলাল দাস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল থেকেই একটি প্ল্যাকার্ড হাতে দেবদুলাল দাসকে অপর্ণা দাসের বাড়ির সামনে বসে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে হাজার অনুরোধ করলেও তিনি ধরনা থেকে উঠতে রাজি হননি। শেষে স্থানীয় পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ স্বামী স্ত্রীকে থানায় নিয়ে যান সমস্যার সমাধান করতে।