28ºc, Haze
Friday, 24th March, 2023 9:18 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি বাম (LEFT) নেত্রী। তিনি ছিলেন জেলার মহিলা সমিতির প্রধান। তিনি বিধায়ক ছিলেন। তিনি ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। সেই নন্দরানী ডলের খবর আজ নেয় না দল। তাঁর স্বামী ডহরেশ্বর সেনও ছিলেন দাপুটে নেতা। তাঁরা বাম অন্ত প্রাণ। দুজনেই বয়সের ভারে ঝুঁকেছেন। প্রাক্তন মন্ত্রীর ব্রঙ্কো নিউমোনিয়া এবং হাই ব্লাড সুগারে আক্রান্ত। সেই তিনিই আজ উপেক্ষিত।
১৯৬৭ সালে মেদিনীপুর জেলায় দলের একমাত্র বিধায়ক ছিলেন তিনিই। সময়টা যুক্তফ্রন্টের সময়ে। ঘাটাল থেকে জিতেছিলেন তিনি। পরপর ৩বার জয় একই কেন্দ্র থেকে। তারপর কেশপুর থেকে সিপিএমের টিকিটে পরপর ৩বার জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন নন্দরানী। শেষ টিকিটে তাঁর জয় গড়েছিল নজির। সালটা ২০০১। কেশপুর থেকে জিতেছিলেন ১ লক্ষ ৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে। মন্ত্রী হয়েছিলেন জনশিক্ষা প্রসার দফতরের। কিন্তু দীপক সরকারের ‘লবি’তে ছিলেন না ডহর-নন্দরানী। তাই ২০০৬ সাল থেকে আর টিকিট জোটেনি নেত্রীর।
বয়স ৮১। তাঁর বাড়ির সামনেই বাড়ি দীপক সরকারের। তিনিও ঝুঁকে পড়েছেন বয়সের ভারে। তাঁর ঘরে কত নেতানেত্রীর ঢল। অথচ দল খোঁজই নেন না নন্দরানীর। কষ্ট পান তিনি। স্বামী আর এসব নিয়ে ভাবতে চান না। তিনিও তো দলের হয়ে শেষ কাজ করেছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলার সম্পাদক হিসেবে। তারপর দুজনেই অবসর যাপন করছেন। দায়িত্ব ফুরোলেই ভুলে যাতে হয়! ‘ব্রাত্য’ নেতা-নেত্রীর খোঁজ একবার নিয়েছিলেন বর্তমান জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ। আর মাঝে মাঝে নেন পাড়ার মহিলা সমিতির কর্মীরা। বাকিরা? কেউ মনে রাখেনি। পুরনো কথা ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন দম্পতি।