নিজস্ব প্রতিনিধি: জলপাইগুড়ি পিকু ওয়ার্ড বিশ বাঁও জলের তলায়।এতদিন স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসন জানাচ্ছিল লজিস্টিক এলেই চালু করে দেওয়া হবে পিকু ওয়ার্ড। কিন্তু সেই দাবির সত্যতা স্বচ্ছন্দে প্রশ্ন তুলে দিল জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যানের বক্তব্য। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চেয়ারম্যান সাফ জানিয়ে দিলেন পিকু পরিচালনা করার মত উপযুক্ত টেকনিশিয়ান নেই জেলা হাসপাতালে। তাই আপাতত এই ওয়ার্ডে শিশুদের সাধারণ চিকিৎসাই চলবে।
পিকু ওয়ার্ড না থাকায় গত দুদিনে ৭ শিশুকে রেফার করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। শিশু চিকিৎসায় রেফার বাড়ায় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। একইসঙ্গে তারা দাবি করেছেন ঘন ঘন রেফারের ঠেলায় সমস্যায় পড়েছে অসুস্থ শিশুদের দরিদ্র পরিবার।
ঘটনায় গ্রীন জলপাইগুড়ি নামে সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক অঙ্কুর দাস অভিযোগ করে বলেছেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর সময় বলা হয়েছিল জলপাইগুড়িতে দ্রুত পিকু ওয়ার্ড চালু হবে। কিন্তু দু’মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আজও চালু হয়নি পিকু ওয়ার্ড। স্বাস্থ্য কর্তারা বলছেন বেড ও মেশিন পত্র এলেই চালু হবে পিকু ওয়ার্ড। কিন্তু এই মেশিন গুলি চালাবেকে?’
ঘটনায় জলপাইগুড়ি রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান তথা তৃনমূলের প্রাক্তন সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মন সাফ জানিয়ে দেন পিকু ওয়ার্ড চালু করার মত উপযুক্ত টেকনিশিয়ান তাদের নেই। টেকনিশিয়ানের কথা স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কেউ আসেনি। ফলে লজিস্টিক এলেও বিশেষজ্ঞর অভাবে পিকু ওয়ার্ড চালু সম্ভব নয়। তাই শিশুদের শ্বাসকষ্ট সমস্যা বাড়লে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৪ জন শিশুকে রেফার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে আজও জ্বর ও শ্বাসকষ্ট সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পেডিয়েট্রিক আউটডোরে। দেখা গিয়েছে শতাধিক শিশুদের নিয়ে এসেছে তাদের মায়েরা। এদের মধ্যে বেশিরভাগই এসেছে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১০১ জন। এদের মধ্যে ৪৩ জন নতুন করে ভর্তি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছে ৪ জন শিশুকে।