এই মুহূর্তে




পহেলগাঁও জঙ্গিদের খুঁজতে গিয়ে নিহত বাংলার ছেলে, শোকে কাতর শহিদ ঝন্টুর পরিবার




নিজস্ব প্রতিনিধি: কাশ্মীরে মিনি সুইৎজারল্যান্ড নামে খ্যাত পহেলগাঁও- তে অতর্কিত সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণে মারা গিয়েছেন ২৬ জন পর্যটক। এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। প্যান্ট খুলিয়ে পর্যটকদের ধর্ম দেখে তাঁদের হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এমন পরিস্থিতিতে ভারত সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত দুই দশকে এটিই ছিল ভারতের সবথেকে বড় সন্ত্রাসী হামলা। এই মর্মান্তিক ঘটনায় দেশজুড়ে রীতিমতো শোক নেমে এসছে। এর রেশ কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের দুদু-বসন্তগড় এলাকায় সেনা-সন্ত্রাসী গুলিযুদ্ধে প্রাণ হারালেন এক সেনা জওয়ান। তিনি ছিলেন হাবিলদার ঝন্টু আলি শেখ।

যিনি জিওসি (জেনারেল অফিসার কমান্ডিং), হোয়াইট নাইট কর্পস এবং সকল পদমর্যাদা ৬ প্যারা এসএফ-এর সাহসী হাবিলদার ছিলেন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে ঝন্টুর পরিবারে। তিনি পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার বাসিন্দা। ঝন্টুরা তিন ভাই। ঝন্টু এবং তাঁর বড়দা রফিকুল শেখ দুজনেই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত। ঝন্টুর দাদা পোস্টিং রয়েছে কাশ্মীরের অন্যত্র একটি জায়গায়। তিনি ভাইয়ের মৃত্যুর খবর প্রথম জাননা ঝন্টুর স্ত্রীকে। ঝন্টুর মা প্রায় শয্যাশায়ি, বাবাও অসুস্থ। এমন পরিস্থিতিতে ছেলের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন ঝন্টুর গোটা পরিবার। দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে আগ্রায় থাকেন ঝন্টুর স্ত্রী। ছুটি পেলেই নদীয়ার গ্রামের বাড়িতে যেতেন তাঁরা। পরপর তিনবছর কাশ্মীরে পোস্টিং থাকার পরে মাঝে অন্যত্র পাঠানো হয়েছিল ঝন্টুকে। কয়েকমাস আগে ফের তাঁকে কাশ্মীরে পোস্টিং করা হয়।

মঙ্গলবারের পহেলগাঁও-এর সন্ত্রাসী হামলার পর ইন্ডিয়ান আর্মির যে দল জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছেন পহেলগাঁও, রাজৌরি, পুঞ্চে-সহ বিভিন্ন জায়গায়, সেই দলের হাবিলদার ছিলেন ঝন্টু। ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে বৈসরন ভ্যালিতে বেছে বেছে ধর্মীয় পরিচয় জানতে চেয়ে হত্যা করা হয় ২৬ পর্যটককে। হিন্দুদেরকে হত্যা করা হয়। কিন্তু তাই যদি হয়, তাহলে ঝন্টুকে কেন মেরে ফেলা হল প্রশ্ন তুলেছেন ঝন্টুর খুড়তুতো দাদা নাজিম। তিনি বলেছেন, ‘কাশ্মীরে ধর্ম জেনে মারা হয়েছিল পর্যটকদের, কিন্তু আমার ভাই তো মুসলমান। তাহলে আমার ভাইকে কে মারল? ওদের কোনও জাত থাকে? সন্ত্রাসবাদীদের কোনও জাত নেই।’ এদিকে ঝন্টুর শহিদ হওয়ার খবরে তাঁর গোটা গ্রাম ভেঙে পড়েছে। তাঁদের গ্রামের ছেলে জঙ্গিদের হাত থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন। এটাই এখন ঝন্টু এবং তাঁর পরিবারের কাছে একমাত্র গর্বের বিষয়। ইতিমধ্যেই নিহত শহিদের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাতের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায় ধেয়ে আসছে দুর্যোগ, সর্তকতা জারি

ফের বিজেপিতে ভাঙন নবদ্বীপ ও মালদায়, একাধিক পরিবার যোগ দিল তৃণমূল শিবিরে

বসিরহাটে গভীর রাতে খোলা রাস্তায় আঁকা হয় পাকিস্তানের পতাকা, মুছে দিল পুলিশ

কার্নিশ থেকে আচমকা ঝাঁপ পরীক্ষার্থীর, শোরগোল বিকাশ ভবনে

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধংদেহী’ মেজাজে স্বঘোষিত ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকরা

এক দড়িতে দম্পতির ঝুলন্তদেহ, রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর