নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রায় কুড়ি ঘণ্টা ধরে চলল তল্লাশি। শেষ পর্যন্ত প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলির বাড়ি থেকে খালি হাতেই ফিরতে হল আয়কর আধিকারিকদের। উল্লেখ্য, লোহাচুর পাচারের মামলায় জড়িত ছিলেন এই প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক।
বুধবার সাত সকালে রানিগঞ্জে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলির বাড়িতে যান আয়কর আধিকারিকরা। তল্লাশির সময়ে গোটা বাড়িটি ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সোহরাবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও খবর। প্রায় কুড়ি ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। শেষপর্যন্ত বুধবার রাত বারোটায় তল্লাশির কাজ শেষ হয়। শুধু প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কই নয়, আয়কর তল্লাশি চালানো হয়েছে ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ আহমেদ খান, হিসাবরক্ষক পঙ্কজ আগরওয়াল ও শিল্পপতি মহেন্দ্র শর্মাপ বাড়িতে।
হীরাপুরে শেখ আলির ছেলে সোহরাব আলি দীর্ঘদিন ধরেই লোহা কারবারের সঙ্গে যুক্ত। লোহা ব্যবসার আড়ালে সোহরাবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অসাধু কারবার চালানোরও অভিযোগ ওঠে। ১৯৯৫ সালে রেল ওয়াগানে লোহা চুরির ঘটনায় সোহরাবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ২০১৫ সাল পর্যন্ত চলে সেই মামলার শুনানি। ২০১৫ সালে তৃণমূল বিধায়ক থাকাকালীন সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন সোহরাব। একদিনের জেল হয় সোহরাবের। সেইদিনেই জামিনে মুক্ত হন। পরে সোহরাব ভোটে না লড়লেও স্ত্রী নার্গিস বানোকে টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু নার্গিস বানো ২০১৬ সালের ভোটে হেরে যান।