নিজস্ব প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার রিহ্যাব হোমে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে জলপাইগুড়ি পুলিশ। তদন্তে সামনে এসেছে, আসক্তি দূর করে দেওয়ার নামে হোম খুলে বসলেও হোম চালানোর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কিছুই নেই ওই রিহ্যাব হোমের।এরপরেই পুলিশ শহরের বাকি হোমগুলিতেও খোঁজ খবর চালায়। তাতেই দেখা গিয়েছে আরও দুটি রিহ্যাব হোমের কোনও অনুমতি পত্র নেই। এরপরেই অভিযুক্ত ওই দুই হোমের দরজা সিল করে দিয়ে আসে পুলিশ।
সূত্রের খবর, শনিবার সকালে এই হোম গুলো পরিদর্শনে যান পুলিশ কর্মীরা। তখনই দেখা যায় কাতোয়ালি থানা এলাকায় আরও দুই হোমের বৈধ অনুমতি নেই। এই প্রসঙ্গে পুলিশ কর্তারা জানান, বৈধ অনুমতিপত্র না থাকায় জলপাইগুড়ি শহরের আরও দুটো রিহ্যাব হোম বন্ধ করে দেওয়া হল।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার রাতে জলপাইগুড়ির একটি রিহ্যাব সেন্টারে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় ১৬ বছরের এক কিশোরের। মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়ায় জলপাইগুড়ি পান্ডা পাড়া এলাকার ওই রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ওই হোমের দুই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে হোমের সিসিটিভি ও কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক সহ আরও কিছু জিনিসপত্র। সেই ঘটনার জেরেই শনিবার জলপাইগুড়ির বাকি হোমগুলো পরিদর্শনে যান পুলিশ কর্মকর্তারা। আর তাতেই দেখা গিয়েছে শহরের আরও দুটি রিহাব হোমে সম্পূর্ণ অবৈধ।