নিজস্ব প্রতিনিধি: দেড় দশক আগে বাম জমানায় পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) জেলার শালবনিতে(Shalbani) প্রায় ৪৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে তা তুলে দেওয়া হয়েছিল Jindal Group’র হাতে। ঘোষণা করা হয়েছিল সেখানে ইস্পাত কারখানা(Steel Plant) গড়বে Jindal Group। সেই জমির মধ্যে ৩৮০০ একর জমি জিন্দলদের লিজ়ে দেওয়া হয়েছিল। তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সেই কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করেন। তার পর থেকেই অবশ্য এলাকায় মাওবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পায়। জিন্দলরা ইস্পাত কারখানা তৈরির পরিকল্পনা বাতিল করে সেখানে কিছু অংশে সিমেন্ট কারখানা গড়ে। বাকি প্রায় ৮০ শতাংশ জমি পড়েই ছিল। সম্প্রতি এই জমির মাপজোকও হয়। কয়েক মাস আগে শালবনিতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) জানান, জিন্দল গোষ্ঠী অব্যবহৃত জমি ফেরত দেবে। তার পরে স্পেনে গিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ইস্পাত কারখানা গড়ার ব্যাপারে উত্সাহ দেখানোর পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি শালবনিতে, জিন্দলদের জমির অব্যবৃহত অংশেই হবে সেই কারখানা? সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ওই জমির মালিকা সত্ত্ব এবার Jindal Group’র হাতেই তুলে দিল রাজ্য সরকার।
শালবনির ৩৮০০ একর জমি সম্প্রতি Free Hold করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। জিন্দল গোষ্ঠীকেই জমির মালিকানা দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। এই বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি জানিয়েছেন, ওই জমি Free Hold হয়েছে। এর আগে লিজ়ে ছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, এ নিয়ে ইতিমধ্যে সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। জানা গিয়েছে, লিজ়ে থাকা সরকারি জমি ইচ্ছুকদের মালিকানা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। শিল্প-সহ নানা ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। সেই সূত্রেই শালবনির ওই জমির মালিকানা পেল জিন্দল গোষ্ঠী। এখন জিন্দলরা যেমন চাইবেন, ওই জমি সে ভাবেই ব্যবহার করা হবে। জমিতে আরও নতুন শিল্পও হতে পারে। সেক্ষেত্রে সৌরভের কারখানা শালবনির পরিবর্তে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলারই গোয়ালতোড়ে প্রয়াগ ফিল্মসিটির জমিতে তৈরি হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। শিল্প নিয়ে পরের পর ঘোষণা শুনে আসছে শালবনি। এখানকার জমিদাতাদের দাবি— কারখানা আর কাজ। জমিদাতা সংগঠনের নেতা পরিষ্কার মাহাতো জানিয়েছেন, ‘আমরা চাই নতুন শিল্প হোক, মানুষ কাজ পাক। যে জমি আমরা শিল্পের জন্য দিয়েছি, সেখানে শিল্পই করতে হবে।’