দেগঙ্গায় সম্প্রীতর সুরে বাঁধা পড়েছেন জগদ্ধাত্রী! দেখে যান যোগী
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: মঙ্গলবার ছিল দশমী। বিসর্জনের দিন। পুজোর ঠিক একমাস পরে মা এসেছিলেন আবারও পুজো নিতে। তবে এক অন্য রূপে। সেই পুজোও গিয়েছে শেষ হয়ে। মাও বিদায় নিয়েছেন। তবে দেগঙ্গার বুকে প্রতিবছরের মতো এবারেও তিনি সম্প্রীতির সুর বেঁধে দিয়ে যেতে ভোলেননি। এই সম্প্রীতির সুরে যা তিনি নিজেও বাঁধা পড়েছেন, আসতে হয় তাই বছর বছর। এবার বিসর্জনের দিনেই যোগী রাজ্যে আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে রাজ্য সরকার অর্ডিনান্স পাশ করিয়েছে, লাভ জেহাদের বিয়েতে ৭ বছরের সাজা। হিন্দু-মুসলিম বিয়ে করা যাবে না। তাই দেগঙ্গার হামাদামা বাজারের মানুষ বলছেন যোগী এসে এবার দেখে যান বাংলার বুকে সম্প্রীতি কী জিনিস। কীভাবে তা টিকে আছে বছরের পর বছর ধরে। কীভাবে আজও হিন্দু আর মুসলিম মানুষ এক হয়ে সামিল হন জগদ্ধাত্রী আরাধনায়। এটাই বাংলার প্রাণ।
উত্তর ২৪ পরগনা ফি বছর ছোট-বড় গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে। কিন্তু এই দেগঙ্গার বুকেও গত দুই যুগ মানে ২৪ বছর ধরে হামাদামা বাজারে জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে হিন্দু-মুসলিমের ভেদাভেদ ভুলে। এবারেও এই কোভিড আবহে সেই পুজো হয়েছে হিন্দু-মুসলিমের কাঁধে চড়েই। তবে এবারে আর চাঁদা তুলে পুজো হয়নি। জাকির, জাহাঙ্গীর, সিরাজুল, জয়নাল নিজেরাই টাকা খরচ করে সম্পন্ন করেছেন পাড়ার জগদ্ধাত্রী পূজা। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে পূজার দায়িত্ব সেখানে পালন করেছেন সংখ্যালঘু মানুষজনও। দেগঙ্গার হামাদামা বাজার সংলগ্ন সার্বজনীন শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী পূজার আয়োজক হামাদামা গ্রামবাসীবৃন্দ। সেই পূজা কমিটির সভাপতি সাধন বন্দোপাধ্যায়, যুগ্ম সম্পাদকের একজন জাকির হোসেন। সেই জাকির হোসেন জানান, ‘আমাদের পূজা এবছর ২৪তম বর্ষে পড়েছে। এক লক্ষ টাকা বাজেটের পূজা ঘিরে পাঁচদিন ধরে চলে মেলা। নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়। দুই সম্প্রদায় মানুষ এই উৎসবে মেতে ওঠেন। এটাই আমাদের সম্প্রীতি।’
পূজার কমিটির সভাপতি সাধন বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘এ বছর করোনা আবহে মানুষের রোজগার কমেছে। তাই তাদের কাছে গিয়ে চাঁদা না নেওয়ার পক্ষে সাওয়াল করেছিল জাকির। জাকিরের এই সিদ্ধান্তে সমর্থন করেছিলেন জাহাঙ্গীর মণ্ডল, সিরাজুল সরদার ও জয়নাল সরদার্রা। তাঁদের দাবি ছিল, তাঁরা নিজেরাই টাকা দিয়ে এ বছর এই পূজা করবে। আমরা তাতে সায় না দিয়ে পারেনি। তাই পুজো কমিটির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় এবারে চাঁদা না তুলেই পুজো হবে।’ তবে পুজো কমিটির তরফে এবার এটাও জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এ বছর সংক্রমন রুখতে মেনে চলা হচ্ছে সরকারি নীতি। তার জেরে পুজো ঘিরে পাঁচ দিনের উৎসব পালিত হলে বাতিল করা হয়েছে সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্টান। আর তা নিয়ে মন খারাপ তরফদার আটি, সর্দার আটি ও হামাদামা এলাকার হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের। তবে মিনু বিবি, সালিমা খাতুন থেকে লক্ষী দাস, অনিমা ঘোষেরা জানায়, এবছর মন খারাপ করে লাভ কি ? করোনা থেকে মানুষের বাঁচাতে না হয় এবছর আনন্দ নাই বা করলাম। সামনের বছর আবার আমরা মিলে মিশে আনন্দে মেতে উঠব। আড়ম্বর ছোট করে পূজার প্রথা মেনে পূজা কমিটি তিনদিক খোলা মণ্ডপ তৈরি করেছিল পুজা কমিটি। আর সেই মণ্ডপেই এবছর আনন্দে মেতেছিলেন দুই সম্প্রদায় মানুষ। মা চলে গিয়েছেন কিন্তু দেগঙ্গার বুকে সম্প্রীতির এই বাঁধন তিনি অক্ষুণ্ণ রেখে গিয়েছেন। এই সম্প্রীতিই বাংলার প্রাণ। একে ছেঁড়ে সাধ্য কী যোগীর।
উত্তর ২৪ পরগনা ফি বছর ছোট-বড় গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে। কিন্তু এই দেগঙ্গার বুকেও গত দুই যুগ মানে ২৪ বছর ধরে হামাদামা বাজারে জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে হিন্দু-মুসলিমের ভেদাভেদ ভুলে। এবারেও এই কোভিড আবহে সেই পুজো হয়েছে হিন্দু-মুসলিমের কাঁধে চড়েই। তবে এবারে আর চাঁদা তুলে পুজো হয়নি। জাকির, জাহাঙ্গীর, সিরাজুল, জয়নাল নিজেরাই টাকা খরচ করে সম্পন্ন করেছেন পাড়ার জগদ্ধাত্রী পূজা। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে পূজার দায়িত্ব সেখানে পালন করেছেন সংখ্যালঘু মানুষজনও। দেগঙ্গার হামাদামা বাজার সংলগ্ন সার্বজনীন শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী পূজার আয়োজক হামাদামা গ্রামবাসীবৃন্দ। সেই পূজা কমিটির সভাপতি সাধন বন্দোপাধ্যায়, যুগ্ম সম্পাদকের একজন জাকির হোসেন। সেই জাকির হোসেন জানান, ‘আমাদের পূজা এবছর ২৪তম বর্ষে পড়েছে। এক লক্ষ টাকা বাজেটের পূজা ঘিরে পাঁচদিন ধরে চলে মেলা। নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়। দুই সম্প্রদায় মানুষ এই উৎসবে মেতে ওঠেন। এটাই আমাদের সম্প্রীতি।’
পূজার কমিটির সভাপতি সাধন বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘এ বছর করোনা আবহে মানুষের রোজগার কমেছে। তাই তাদের কাছে গিয়ে চাঁদা না নেওয়ার পক্ষে সাওয়াল করেছিল জাকির। জাকিরের এই সিদ্ধান্তে সমর্থন করেছিলেন জাহাঙ্গীর মণ্ডল, সিরাজুল সরদার ও জয়নাল সরদার্রা। তাঁদের দাবি ছিল, তাঁরা নিজেরাই টাকা দিয়ে এ বছর এই পূজা করবে। আমরা তাতে সায় না দিয়ে পারেনি। তাই পুজো কমিটির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় এবারে চাঁদা না তুলেই পুজো হবে।’ তবে পুজো কমিটির তরফে এবার এটাও জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এ বছর সংক্রমন রুখতে মেনে চলা হচ্ছে সরকারি নীতি। তার জেরে পুজো ঘিরে পাঁচ দিনের উৎসব পালিত হলে বাতিল করা হয়েছে সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্টান। আর তা নিয়ে মন খারাপ তরফদার আটি, সর্দার আটি ও হামাদামা এলাকার হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের। তবে মিনু বিবি, সালিমা খাতুন থেকে লক্ষী দাস, অনিমা ঘোষেরা জানায়, এবছর মন খারাপ করে লাভ কি ? করোনা থেকে মানুষের বাঁচাতে না হয় এবছর আনন্দ নাই বা করলাম। সামনের বছর আবার আমরা মিলে মিশে আনন্দে মেতে উঠব। আড়ম্বর ছোট করে পূজার প্রথা মেনে পূজা কমিটি তিনদিক খোলা মণ্ডপ তৈরি করেছিল পুজা কমিটি। আর সেই মণ্ডপেই এবছর আনন্দে মেতেছিলেন দুই সম্প্রদায় মানুষ। মা চলে গিয়েছেন কিন্তু দেগঙ্গার বুকে সম্প্রীতির এই বাঁধন তিনি অক্ষুণ্ণ রেখে গিয়েছেন। এই সম্প্রীতিই বাংলার প্রাণ। একে ছেঁড়ে সাধ্য কী যোগীর।
More News:
25th January 2021
25th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
মানুষের ছ'কোটি মেরেছে শুভেন্দু, চিঠি হাতিয়ার করে তোপ অভিষেকের
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
ফেব্রুয়ারিতে স্কুল খুলবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রীই
23rd January 2021
সারা জীবন উৎসর্গ করেও যোগ্য সম্মান পাননি নেতাজি, মুখ খুললেন অনিতা পাফ
Leave A Comment