ডোমজুড়ে রাজীবের পরিবর্তে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: আর কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যে বেজে যাবে ভোটের দামামা। তারপরেই প্রত্যেক রাজনৈতিক দল নিজেদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে নামবে ভোটযুদ্ধের ময়দানে। চলবে টানা ৪৫ দিন ধরে প্রচার, মিটিং, মিছিল। কিন্তু এইসবের মাঝেই কিছুটা ব্যতিক্রম হয়েছে হাওড়ার ডোমজুড় কেন্দ্র। ভোট আসতে অনেক বাকি, ঘোষণা হয়নি প্রার্থী তালিকার নাম কিন্তু ময়দানে নেমে পড়েছেন শত শত তৃণমূল কর্মীরা। কারণ তাদের কথায় 'আপদ বিদায় হয়েছে'। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগ কার্যত হাওরার হৃদপিন্ড ডোমজুড়ে ভেঙ্গে দিয়েছে লবি। এখন কোনও 'দাদার অনুগামী' নয় সকলেই তৃণমূল কর্মী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মী।
ভোট ঘোষণার দেরী আছে, বাকি দলের তরফে প্রার্থী তালিকা প্রকাশে। কিন্তু তাঁর আগেই এলাকার দাপুটে নেতা কল্যাণ ঘোষকেই প্রার্থী মেনে পিঠে সিলিন্ডার ভর্তি অক্সিজেম নিয়ে দৌড়াচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। মিটিং, মিছিল, প্রচার কার্যত রাজীবের প্রাক্তন কেন্দ্রে অস্তিত্ব হারাচ্ছেন 'মানুষের কাজ করা, জননেতা' ব্যানার্জী পরিবারের সন্তান।
আর জনগণ কিংবা তৃণমূলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছেন কল্যাণ ঘোষ। ডোমজুড় কেন্দ্রে ২০১১ সালেই যার ভাগ্যে ছিঁড়ত বিধানসভার টিকিট, কিন্তু রাজীবের রাজনৈতিক কেরিয়ার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই নিজের পায়ে নিজেই কুড়ল মারেন কল্যাণ। তারপর জেলা পরিষদের সদস্য কিংবা কর্মাধক্ষ্য হিসেবে মানুষের পাশে থেকে গিয়েছেন কাজ করে গিয়েছেন চুপিসারে। শত শত অপমান, লাঞ্চনা সহ্য করতে হয়েছে রাজীবন ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের নেতাদের কাছ থেকে কিন্তু দলের জন্য ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য লড়াই করে গিয়েছেন। ১৯৯৩-১৯৯৮ সালে কংগ্রেসের হয়ে ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিরোধী দলনেতা। তারপর ১৯৯৮ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে পঞ্চায়ের সমতিতে বিরোধী দলনেতা। বাম জমানায় ডোমজুড়ে ঘাসফুলের প্রতিষ্ঠা করেন কল্যাণ বাবু। তারপর বামফ্রন্টের চোখ রাঙ্গানি, অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ২০০৭ উপ নির্বাচনে জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। পড়ে ২০০৮ ভোটে জিতে ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের সহ-সভাপতি হন তৃণমূলের হয়ে। তারপর ২০১৩ সালে ফের ত্রি-স্তরীয় নির্বাচনে জেলা পরিষদের সদস্য হয়ে ভোটে জিতে পূর্ত দফতরের কর্মাধ্যক্ষ হন কল্যাণ ঘোষ।
হাওড়ার ডোমজুরের বুকে তৃণমূলের জন্মদাতা হিসেবে পরিচিত কল্যাণ ঘোষকে গোজ প্রার্থী দিয়ে ২০১৮-তে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে হারিয়ে দেন তদতকালীন মন্ত্রী ও ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্তত্ত শাসকদলের তরফে তেমনটাই দাবি করা হয়। আর তারপরেই মোহভঙ্গ হয় এলাকাবাসীর, উন্নয়নের বার্তা দেওয়া রাজীবের স্বচ্ছ ভাবমূর্তীতে লাগে কালিমা। মুখ ফেরাতে থাকে সাধারণ মানুষ ও ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে তৃণমূল কর্মীরা। আর এর ফলস্বরুপ রাজীবের হাতে থাকা সেচ দফতর কেড়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই দলের জেলার নেতাদের প্রতি ক্রামগত ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন রাজীব। কিন্তু ততদিনে ডোমজুড় বাসীর মনে ২০২১-এর প্রার্থী কল্যাণ ঘোষ হয়ে গিয়েছেন। আর তাতে মনে মনে সিলমোহর পড়েছে রাজীবের পদ্মে ঝাঁপ মারার পরেই।
ডোমজুড়ের মাটিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচণে যদি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে কল্যাণ বাবু দাঁড়ান, তাহলে লড়াই হবে সেয়ানে-সেয়ানে। কারণ রাজীবের রাজনৈতিক 'গুরু' হিসেবে পরিচিত কল্যাণ ঘোষ। দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া ও এলাকার দুঁদে নেতা। যিনি বহু আগে থেকেই বিধায়ক হারা ডোমজুড়ে এলাকাবাসীর পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন। তাই বলাই যায় তৃণমূল নেত্রীর নাম ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা ডোমজুড়ে রাজীবের পদ্মে ফোটানো আটকাতে তৈরি কল্যাণ ঘোষ।
ভোট ঘোষণার দেরী আছে, বাকি দলের তরফে প্রার্থী তালিকা প্রকাশে। কিন্তু তাঁর আগেই এলাকার দাপুটে নেতা কল্যাণ ঘোষকেই প্রার্থী মেনে পিঠে সিলিন্ডার ভর্তি অক্সিজেম নিয়ে দৌড়াচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। মিটিং, মিছিল, প্রচার কার্যত রাজীবের প্রাক্তন কেন্দ্রে অস্তিত্ব হারাচ্ছেন 'মানুষের কাজ করা, জননেতা' ব্যানার্জী পরিবারের সন্তান।
আর জনগণ কিংবা তৃণমূলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছেন কল্যাণ ঘোষ। ডোমজুড় কেন্দ্রে ২০১১ সালেই যার ভাগ্যে ছিঁড়ত বিধানসভার টিকিট, কিন্তু রাজীবের রাজনৈতিক কেরিয়ার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই নিজের পায়ে নিজেই কুড়ল মারেন কল্যাণ। তারপর জেলা পরিষদের সদস্য কিংবা কর্মাধক্ষ্য হিসেবে মানুষের পাশে থেকে গিয়েছেন কাজ করে গিয়েছেন চুপিসারে। শত শত অপমান, লাঞ্চনা সহ্য করতে হয়েছে রাজীবন ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের নেতাদের কাছ থেকে কিন্তু দলের জন্য ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য লড়াই করে গিয়েছেন। ১৯৯৩-১৯৯৮ সালে কংগ্রেসের হয়ে ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিরোধী দলনেতা। তারপর ১৯৯৮ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে পঞ্চায়ের সমতিতে বিরোধী দলনেতা। বাম জমানায় ডোমজুড়ে ঘাসফুলের প্রতিষ্ঠা করেন কল্যাণ বাবু। তারপর বামফ্রন্টের চোখ রাঙ্গানি, অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ২০০৭ উপ নির্বাচনে জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। পড়ে ২০০৮ ভোটে জিতে ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের সহ-সভাপতি হন তৃণমূলের হয়ে। তারপর ২০১৩ সালে ফের ত্রি-স্তরীয় নির্বাচনে জেলা পরিষদের সদস্য হয়ে ভোটে জিতে পূর্ত দফতরের কর্মাধ্যক্ষ হন কল্যাণ ঘোষ।
হাওড়ার ডোমজুরের বুকে তৃণমূলের জন্মদাতা হিসেবে পরিচিত কল্যাণ ঘোষকে গোজ প্রার্থী দিয়ে ২০১৮-তে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে হারিয়ে দেন তদতকালীন মন্ত্রী ও ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্তত্ত শাসকদলের তরফে তেমনটাই দাবি করা হয়। আর তারপরেই মোহভঙ্গ হয় এলাকাবাসীর, উন্নয়নের বার্তা দেওয়া রাজীবের স্বচ্ছ ভাবমূর্তীতে লাগে কালিমা। মুখ ফেরাতে থাকে সাধারণ মানুষ ও ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে তৃণমূল কর্মীরা। আর এর ফলস্বরুপ রাজীবের হাতে থাকা সেচ দফতর কেড়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই দলের জেলার নেতাদের প্রতি ক্রামগত ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন রাজীব। কিন্তু ততদিনে ডোমজুড় বাসীর মনে ২০২১-এর প্রার্থী কল্যাণ ঘোষ হয়ে গিয়েছেন। আর তাতে মনে মনে সিলমোহর পড়েছে রাজীবের পদ্মে ঝাঁপ মারার পরেই।
ডোমজুড়ের মাটিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচণে যদি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে কল্যাণ বাবু দাঁড়ান, তাহলে লড়াই হবে সেয়ানে-সেয়ানে। কারণ রাজীবের রাজনৈতিক 'গুরু' হিসেবে পরিচিত কল্যাণ ঘোষ। দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া ও এলাকার দুঁদে নেতা। যিনি বহু আগে থেকেই বিধায়ক হারা ডোমজুড়ে এলাকাবাসীর পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন। তাই বলাই যায় তৃণমূল নেত্রীর নাম ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা ডোমজুড়ে রাজীবের পদ্মে ফোটানো আটকাতে তৈরি কল্যাণ ঘোষ।
More News:
26th February 2021
দেখে নিন কবে রাজ্যের কোথায় নির্বাচন, রইল কেন্দ্রওয়াড়ি বিস্তারিত বিবরণ
26th February 2021
26th February 2021
26th February 2021
26th February 2021
বাংলায় বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ফের ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠ’ অজয় নায়েক
26th February 2021
26th February 2021
সায়নী-সুদেষ্ণার সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব, প্রার্থীপদ নিয়ে জল্পনা
26th February 2021
26th February 2021
26th February 2021
Leave A Comment